দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসক দলকে একের পর এক কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা। চোর তকমা দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের সকল নেতা-মন্ত্রীদের। তারই বিরুদ্ধে এবারে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোর বললে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার কথাও বলেন মমতা।
সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির পর প্রথমবার জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর বলা হচ্ছে। আমি যদি রাজনীতি না করতাম, আর চেয়ারে না থাকতাম, তাহলে বলতাম যারা এসব বলছেন, তাদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলতে বললাম।'
মমতা বলেন, 'এখনও কিছু প্রমাণ হয়নি, এটা মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। মিডিয়া থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ, সবাই রাজনৈতিক দলকে ভয় দেখিয়ে পরাধীন করে দেওয়া হয়েছে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '১১ বছরের শাসনামলে টাকা মেলেনি, কিন্তু বঞ্চিত করা হয়েছে।' তিনি বলেন, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে রয়েছে, কিন্তু বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না এবং ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ঘরে ঘরে লুটপাট করা হচ্ছে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। কারা সমস্যা করছে, আমরাও তার তালিকা রাখছি। তৃণমূল কংগ্রেসে সবাই চোর, আর আপনারা সাধু? এমন চলবে না।' তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বিদেশে টাকা পাঠায়। সাধারণ মানুষের টাকা লুট করছে বিজেপি। তিনি বলেন, 'দেশ ভাঙা হচ্ছে। ইতিহাস ভাঙা হচ্ছে। ভাষা ভাঙা হচ্ছে। বিজেপির শাসনে নাশকতা চলছে, কেউ বিরোধিতা করলে তাকে জেলে পাঠানো হয়।'
মমতা বলেন, 'তিনি পেনশন নেন না, বই লেখেন। তিনি সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলেন, কিন্তু তাদের চেষ্টা, মিডিয়া এবং কিছু চোর নেতার সহায়তায় কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালি লাগানো যায় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে আনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা উঁচু করে, আদর্শের সঙ্গে রাজনীতি করতে এসেছেন। আট বছরে বিজেপি দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। শুধু জিএসটি ধার্য করা হয়। চাকরি নেই, কর্মসংস্থান নেই। কেবল কোটি টাকা দিয়ে নিজেদের ভাণ্ডার মজুদ করছে।'
No comments:
Post a Comment