শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও গরু পাচার মামলায় ঘেরা মমতা সরকার। দুর্নীতি ইস্যুতে রাজপথে নামার ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির। ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির পক্ষ থেকে নবান্ন চলো অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই দিন রাজ্যের বিশাল এলাকায় পালিত হবে করম পূজা। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের মানুষের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে নবান্ন প্রচারের তারিখ পরিবর্তন করেছে বিজেপি। করম পূজা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন স্থানীয় আধিকারিকরা। 'চোরদের জেলে দাও, মমতা গদি ছাড়ো' দাবী নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন চলো অভিযানে অংশ নেবে লক্ষাধিক বিজেপি কর্মী।
সোমবার, হেস্টিংস অফিসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্য, সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ।
পুজোর আগে নবান্ন প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। এর আগে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি হবে। কিন্তু ওই দিন করম উৎসবের কারণে তা বাতিল করা হয়। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। এর আগে রাজ্যে বিশেষ করে কলকাতায় পুজোর আবহ। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির অনুষ্ঠান কবে হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, নবান্ন প্রচার কর্মসূচির প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই চলছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কলকাতার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল শুরু হবে। সব মিছিলের গন্তব্য হবে হাওড়ায় নবান্ন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও রূপরেখা নির্ধারণ করছে যে পুলিশ যদি পথ আটকায়, তাহলে কোথায় এবং কী করা হবে।
সোমবার কলকাতায় বিজেপির হেস্টিংস অফিসে রাজ্য কমিটির নেতারা একটি বৈঠক করেন। রাজ্য পর্যবেক্ষক হিসাবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া সুনীল বানসাল উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত হতে পারেননি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বানসাল বৈঠকে যোগ দিতে না পারলেও নবান্ন প্রচারের কর্মসূচির আগে তিনি বাংলায় আসবেন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও মঙ্গলবার হেস্টিংসের অফিসে দলের বিভিন্ন ফ্রন্ট ও সেলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং কর্মসূচিকে সফল করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে।
No comments:
Post a Comment