জন্মহারের রেকর্ডের দিকে মনোযোগ দিতে বিশেষ পদক্ষেপ সরকারের। কারণ আধিকারিকরা সতর্ক করেছেন ২০২৫ সালের মধ্যে কমতে শুরু করবে জনসংখ্যা। আর এই সমস্যা সমাধানেই উঠে-পড়ে লেগেছে চীন। মঙ্গলবার, জিনপিং সরকার পরিবারগুলিকে আরও সন্তান ধারণে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাতা ঘোষণা করেছে।
চীন বর্তমানে জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি। ২০১৬ সালে, বেইজিং এক শিশু নীতি বাতিল করে এবং ২০২১ সালে তিনটি শিশু জন্মের অনুমতি দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত ৫ বছরে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মঙ্গলবার, জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক সরকারগুলিকে প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় বাড়াতে এবং সারা দেশে শিশু যত্ন পরিষেবাগুলি উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে।
তারা স্থানীয় সরকারকে বলেন, 'সক্রিয় প্রজনন সহায়তা উপায় লাঘুর প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভর্তুকি প্রদান, কর ছাড়, উন্নত স্বাস্থ্য বীমা, তরুণ পরিবারের জন্য শিক্ষা, আবাসন এবং কর্মসংস্থান সহায়তা। শিশু যত্ন পরিষেবার তীব্র ঘাটতি কমাতে বছরের শেষ নাগাদ সমস্ত প্রদেশে দুই থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের জন্য নার্সারি সরবরাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, কর এবং আবাসন ক্রেডিট, শিক্ষাগত সুবিধার পাশাপাশি নগদ পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে চীনের ধনী শহরগুলিতে মহিলাদের আরও সন্তান ধারণে উত্সাহিত করার জন্য।
জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর চীনের জন্মহার প্রতি ১০০০ জনে ৭.৫২ জন্ম পর্যন্ত নেমে এসেছে। ১৯৪৯ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সংখ্যাটি সর্বনিম্ন।
No comments:
Post a Comment