শরীরে আয়রণের ঘাটতি অবহেলা করলে হতে পারে বিপদ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 23 September 2022

শরীরে আয়রণের ঘাটতি অবহেলা করলে হতে পারে বিপদ

 






সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজগুলি অপরিহার্য।  আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা প্রাথমিকভাবে ফুসফুস থেকে টিস্যুতে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে। তাই শরীরে আয়রনের অভাব শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে ব্যাহত করতে পারে।  যাকে বলা হয় রক্তাল্পতা।


 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, রক্তাল্পতা একটি গুরুতর বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশেষ করে অল্পবয়সী শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের প্রভাবিত করে।  বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের কম বয়সী ৪২% শিশু এবং ৪০% গর্ভবতী মহিলাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে।


 চরম ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: আয়রনের অভাব হলে খুব ক্লান্ত বোধ হয়। আয়রন হল সেই খনিজ যা হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে, একটি প্রোটিন যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন বহনের জন্য দায়ী।  যদিও ক্লান্তি আয়রনের ঘাটতির অন্যতম প্রধান উপসর্গ, তবে এর অর্থ অন্য কিছুও হতে পারে।


 শ্বাস নিতে অসুবিধা: আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। আয়রনের মাত্রা কম হওয়া, এর মানে হল যে হিমোগ্লোবিন এবং অক্সিজেনের মাত্রা উভয়ই কম হবে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।


চামড়া ফ্যাকাশে হওয়া : লোহিত রক্ত ​​কণিকার জন্য রক্ত হয় লাল রঙের। আয়রনের ঘাটতিতে ভুগলে, হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত হয়। এতে ত্বক গোলাপী রঙ এবং উষ্ণতা হারায়।  মুখ, মাড়ি, নখ এবং চোখের পাতার ভেতরের পাতা হলুদ হয়ে যায়।


 মাথা ঘোরা এবং মাথা ব্যাথা:আয়রনের ঘাটতি মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহকে সীমিত করতে পারে, মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরাকে আরও সাধারণ করে তোলে।  এটি একটি প্রচলিত সমস্যা, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে।  মস্তিষ্কে অক্সিজেনের কম মাত্রা মাথাব্যথার জন্য একটি সাধারণ কারণ হতে পারে।


বর্ধিত হৃদস্পন্দন: যখন শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে, তখন সারা শরীরে অক্সিজেন পাম্প করতে হার্টকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়।  এতে হৃদস্পন্দনের বৃদ্ধি বেড়ে যায়।

 

 ফোলা, গলা ব্যথা:  মুখ এবং জিহ্বা আয়রনের ঘাটতি নির্দেশ করতে পারে।  যদি জিহ্বা বা মুখ ফুলে যায়, ফোলা থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনার শরীরে যথেষ্ট আয়রনের অভাব রয়েছে।  অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে শুষ্ক মুখ, এবং মুখের ঘা অন্তর্ভুক্ত।


 কি খাবেন আয়রনের ঘাটতি হলে? 

 বিশেষজ্ঞরা লাল মাংস, চিংড়ি, টফু, পালং শাক, বাদাম, খেজুর, মসুর ডাল, সিরিয়াল, বাদাম, ঝিনুক, গাজর এবং অ্যাসপারাগাসের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।


 এছাড়া আয়রন সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।  এগুলি ছাড়াও পার্সলে শাক , তুলসী, সর্ষে শাক, পালং শাক, গাজর, কিশমিশ, মটরশশুঁটি, পেঁপে, পেঁপে পাতা, রসুন, ডালিম, ব্রোকলি, সেলারি, অ্যাসপারাগাস, ওকরা এবং বাঁধাকপি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad