ভয়াবহ দুর্ঘটনা! বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু, আহত একাধিক

যাত্রীবোঝাই প্রাইভেট বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে বাসটি। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ৮ বাস যাত্রী সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই ডজনেরও বেশি মানুষ। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায়, জাতীয় সড়ক ৭৩০-এর পিলিভীত-বস্তি, ঈসানগর থানা এলাকার খামারিয়া চৌকির কাছে সারদা নদীর উপর ইরা সেতুতে।  

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই আট যাত্রী নিহত হন এবং আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন মারা যান।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার সিং বলেছেন, যে বাসটিতে মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “সকল আহত যাত্রীদের নাখা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখান থেকে যারা গুরুতর আহত, তাদের লখিমপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ট্রাক চালক সহ আরও আটজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার সময় ট্রাকের হেলপার মারা যান।" 

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওভারলোড ট্রাকটির টায়ার ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার পর চালক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট বাসের সঙ্গে ধাক্কা মারে।

দুর্ঘটনার সময় বাসের চালক আমির চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হলেও বাসের কন্ডাক্টর গুরুতর আহত হন। এখন পর্যন্ত নিহত চার যাত্রীর নাম জানা গিয়েছে; আলিমুন (৫০), সাগীর (৪৫), মান্নু (১৪) ও সুরেন্দ্র (৪২)। খবর পেয়ে লখনউয়ের বিভাগীয় কমিশনার রোশন জ্যাকব ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন।

লখিমপুর খেরি জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা।

শোক প্রকাশের পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যেতে এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালানো এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।  

তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, 'আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য ডিএম এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'