একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন। রবিবার বিজেপি আবারও এখানে জয়ের হাসি হেসেছে। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দখলে থাকা ভেকুটিয়া সমবায় সমিতি বিজেপির দখলে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। বিকেলে ফলাফল ঘোষণার পর ১২টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনেই জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল কোনওমতে মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করতে পেরেছে। যদিও মাত্র এক ভোটে ওই আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
শাসক শিবিরের দাবী, বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাস করে বিরোধী নেতারা জিতেছেন। বিজেপির পাল্টা দাবী, শাসক দলের চমক উপেক্ষা করেই তারা জয়ী হয়েছে। বাংলার রাজনৈতিক মহলে বিজেপির এই জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি শিবিরের দাবী, ভোটের দিন তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় না থাকলেও তৃণমূল নেতারা তাঁর নামে গালিগালাজ করেছেন। যদিও তৃণমূল শিবির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নন্দীগ্রাম তৃণমূল ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য কর বলেন, “আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে বলেছি। কিন্তু বিজেপি বাইরের লোকদের দিয়ে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা করলে এলাকার মানুষ প্রতিবাদে যোগ দেয়। সেই সঙ্গে বিজেপি জোর করে ভোটারদের প্রভাবিত করে বুথে নিয়ে যায়। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চেয়েছিলাম, কিন্তু বিজেপি জোর করে জিতেছে।”
বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, "যেখানে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। সেখানে তৃণমূল হারবে আর বাংলায় বিজেপি জিতবে। একই ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায়। বহিরাগতদের আনার তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।" তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল পুলিশ ও বহিরাগতদের সহযোগিতায় নির্বাচনে জিততে চেয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ উঠে দাঁড়ানোয় তারা হেরেছে। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া এলাকা বহু বছর ধরে বিজেপির ঘাঁটি। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে প্রায় ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
No comments:
Post a Comment