পুকুরে মাছ চাষের অনেক সুবিধা রয়েছে। চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত মাছ বিক্রি করে আয়ের পথ খুলে দেয়। কিন্তু অনেকেই সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই মাছ চাষে জড়িয়ে পড়েন। কোনটা বেশি লাভজনক আর কোনটা সমস্যা, সে সব বিষয় আগে থেকেই জেনে রাখা উচিৎ।
পুকুর অবস্থান
আগে থেকেই পুকুর থাকলে ভালো হয়। একটি নতুন পুকুর খননের জন্য স্থান নির্বাচনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জমি এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে, যেখানে ভূপৃষ্ঠ ঢালু এবং বৃষ্টির কারণে বাইরের জল প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই এবং সেখানকার পরিবেশ দূষিত না। একই সঙ্গে দূষিত জল যাতে অন্য কোনওভাবে সেখানে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
জলের ব্যবস্থা
মাছ চাষ করতে চাইলে পুকুরের জল যেন ৩ ফুটের কম না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জলের স্তর এর নিচে নেমে গেলে জল ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সেই বিকল্পটিও ইতিমধ্যে নির্বাচন করা উচিৎ। বিশেষ করে গ্রীষ্মের দিনগুলিতে জলের অভাব হওয়া উচিৎ নয়।
কোন মাছ চাষ?
মাছের প্রজাতি ভেদে দামের তারতম্য হয়। ফলে মাছ চাষকে ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ। পুকুরে রুই, কাতলা, বাটা, কই, মাগুর, শিঙ্গি, মৃগেল, তেলাপিয়া, চিতল, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়। তবে আপনার এলাকায় কোন মাছের চাহিদা বেশি তা মাথায় রাখলে ভালো হয়।
পুকুরের বাস্তুতন্ত্র
মাছের জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহের পাশাপাশি পুকুরের জলের বাস্তুতন্ত্রও রক্ষা করতে হবে। একটি পুকুর ইকোসিস্টেম বিভিন্ন জৈব এবং অজৈব উপাদান নিয়ে গঠিত। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত পুকুরের জল অপসারণ করতে হবে। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে নিচের মাটি গোবর, কম্পোস্ট, চুন ও পরিমাণ অনুযায়ী জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
No comments:
Post a Comment