করোনা মহামারীর পরে অনেক কিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে। যেখানে আমরা আমাদের মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে দেখার সময় দোকান থেকে মালামাল নেওয়া থেকে শুরু করে পড়াশোনা সবই করতে পারি। তবে অনলাইনে পড়াশোনার ফলে শিশুরা যতটা উপকৃত হয়েছে, তাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। আসলে, বেশিক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা চোখের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং এর কারণে চোখের সমস্যাগুলি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। আপনার সন্তানও যদি অনলাইনে পড়াশোনা করে বা মোবাইল স্ক্রিনে বেশির ভাগ সময় কাটায়, তাহলে আপনাকেও সতর্ক থাকতে হবে। আপনি অনলাইন অধ্যয়ন বন্ধ করতে পারবেন না, কিন্তু আপনি তাদের চোখ খারাপ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারেন। এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে বিশেষ শুকনো ফল সম্পর্কে বলব যা আপনার সন্তানের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
কাজু UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে -
অনলাইনে পড়াশোনা করা শিশুদের জন্য কাজুবাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজুতে অনেক বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা চোখের রেটিনা শোষণ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি একটি স্তর তৈরি করে যা রেটিনাকে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
চোখের জন্য বাদামের উপকারিতা
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে বাদাম শুধুমাত্র মনকে শাণিত করে, তাহলে আপনি ভুল করছেন। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও বাদাম খুবই উপকারী। বাদামে ভিটামিন ই সহ অনেক বিশেষ উপাদান পাওয়া যায় যা চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করার পাশাপাশি ছানির মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
চোখের জন্য কিশমিশ উপকারী
বাচ্চারা কিশমিশের টক এবং মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করে। তবে এটি কেবল স্বাদের জন্যই নয়, এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা চোখের দৃষ্টি ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে।
আখরোট আপনার চোখকে সুস্থ রাখে -
কম্পিউটারে একটানা কাজ করা শিশুদের খাবারে আখরোট থাকাটাও খুবই জরুরি। আখরোটে উপস্থিত জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, যা চোখের উপর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরূপ প্রভাব রোধ করে। নিয়মিত আখরোট খেলে চোখ সুস্থ থাকে এবং দৃষ্টিজনিত সমস্যার ঝুঁকিও কমে।
চিনাবাদাম খেলে চোখের রোগ নিরাময় হয় -
শিশুদের চোখ সুস্থ রাখতে তাদের খাদ্যতালিকায় চিনাবাদাম অন্তর্ভুক্ত করাও খুবই জরুরি। চিনাবাদামে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা চোখকে সুস্থ রাখে এবং আলো কমায় এমন রোগ থেকে দূরে রাখে। আপনার সন্তানও যদি কম্পিউটারে পড়াশোনা করে, তাহলে অবশ্যই তাকে চিনাবাদাম খাওয়ান।
No comments:
Post a Comment