গ্রামের পুজো শহরের মতন নয় - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 5 September 2022

গ্রামের পুজো শহরের মতন নয়


কয়েকদিন পরে মা দুর্গার মর্ত্যে আগমণ। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন মর্ত্যবাসী। বিশেষ করে শহরগুলোতে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে পিছিয়ে নেই গ্ৰামগুলোও। গ্ৰামের পুজোতে শহরের মত চাকচিক্য না থাকলেও সেখানকার পুজোর আমেজটাই যেন আলাদা। 


গ্ৰাম বাংলার পুজো মানেই তাতে থাকে সাবেকিআনার ছোঁয়া। এখানে হয়তো সেভাবে থিম পুজো হয় না, তবে সকলে মিলে একসঙ্গে হাসি-আড্ডা, আনন্দ উপভোগ করেন ষোলোআনা। 


শহরের পুজোয় যেমন সুবিশাল প্যান্ডেল, আলোর রোশনাই চোখে পড়ে, আবার এমনটাও হয় যে মায়ের মুখের পরিবর্তে এগুলোই ছাপিয়ে যায়, গ্ৰাম বাংলার পুজোতে ঠিক এর উল্টো। এখানে দুর্গা প্রতিমাই থাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। 


এছাড়াও, পুজোর সংখ্যাটাও এখানে কম। প্রতিটা পাড়া ধরে ধরে পুজোর আয়োজন এখানে হয় না বললেই চলে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্ৰামগুলোতে। একটি পুজো মণ্ডপেই তাই জমে ওঠে ভিড়। সকাল থেকেই কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বাড়ির মেয়ে-বৌরা অংশ নেন সেই পুজোয়। সকলে মিলে পুজোর আয়োজন, ভোগ রান্না, অঞ্জলি দেওয়া, আর মাঝে মাঝেই খুনসুঁটিতে মেতে ওঠেন সকলে। পুরুষরাও একসঙ্গে আড্ডা, বাজার-ঘাট হাতে হাতে মহিলাদের পুজোর আয়োজনে সাহায্য করা- গ্ৰামের পুজোয় এই দৃশ্যও চোখে পড়ে।  


দিনের বেলায় এসবের পাশাপাশি রাতে ছোট-খাটো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয় পুজোর কটা দিন। কোথাও কোথাও আজও নবমীর রাতে পুতুল নাচ বা যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। 


এবারে মাকে বিদায় জানানোর পালা। দশমীর দিন মুখে হাসি-চোখে জল নিয়ে মা দুর্গাকে বিদায় জানানো হয়।তাঁর আগে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন গ্ৰামের মহিলারা। এরপর ঢাকের তালে কোমর দোলানো এবং নদী ঘাটে গিয়ে মায়ের বিসর্জনে অংশ নেওয়া। মনে একটাই কথা-'আসছে বছর আবার এসো মা'।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad