তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ফের একবার তাঁর দলের আক্রমণাত্মক মনোভাবের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহুয়াকে স্পষ্টভাবে বলেন যে তিনি যেন তার সংসদীয় এলাকায় মনোনিবেশ করেন এবং সংগঠনের কাজে হস্তক্ষেপ না করেন। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের সাংসদ। নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা আসনের বিষয়ে কলকাতায় বুথ স্তরের কর্মীদের এক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন যে এখানকার বিষয়গুলি মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহিরের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। প্রকৃতপক্ষে, মহুয়া মৈত্র 2016 সালে করিমপুর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং এর কারণে সেখান থেকে তার একটি বিশেষ সংযুক্তি রয়েছে। তিনি সেখানকার বিষয়েও হস্তক্ষেপ করছেন, যে বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তাকে সতর্ক করেছেন।
তৃণমূল লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করেছিল এবং তারপরে বিমলেন্দু সিনহা রায় উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। এছাড়া আবু তাহিরকে সেখানে ইনচার্জ করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র আর মহুয়া মৈত্রের এখতিয়ারে নেই, আবু তাহির এর দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি সেখানকার বিষয়গুলো দেখবেন।" গত কয়েকদিন আগে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়েছিল মহুয়া করিমপুরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং সমান্তরাল সংগঠন চালায়। এতে এলাকার কয়েকজন নেতা-আধিকারিকের সহযোগিতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মহুয়া মৈত্রের হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিধায়ক সহ অনেক নেতা। এখন বিধায়ক বিমলেন্দু সিনহা রায় মহুয়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিরস্কার করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে এটি করিমপুরের মানুষের জন্য উপকারী হবে। সিনহা বলেন, মহুয়া মৈত্র করিমপুরে আসা মাত্রই সমস্যার সৃষ্টি করে। তার উপস্থিতির কারণে করিমপুরে সংগঠনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সিনহা রায় বলেন, 'আমি করিমপুরের দুই বারের বিধায়ক। তিনি প্রায়ই এখানে আসেন, কিন্তু আমি উপেক্ষা করি। তিনি এখানে তার পোষা বিডিওর মাধ্যমে কাজ করেন। সে আমাকে এখানে কাজ করতেও দেয় না। সেই কারণেই গোটা বিষয়টি পৌঁছে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।'
No comments:
Post a Comment