আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে। রবিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ডিমারিতে বিজেপির জনসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন যে তিনি পতাকা এবং লাঠি নিয়ে নবান্ন অভিযানে থাকবেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তোলপাড়, তোলাবাজি ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী কিছুই জানেন না।"
তিনি বলেন, “কবিতার লাইন বদলে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস তোলপাড় ছাড়া কিছুই জানে না। যে জেলা সভাপতি বেশি বেতন দেন না তাকে বদলি করা হয়।"
তিনি বলেন, "ইডি এবং সিবিআই সবে খেলা শুরু করেছে, খোকাবাবুকে ডাকা হয়েছে। অমিত শাহকে পাপ্পু বলা হচ্ছে। আপ্পু (অভিষেক ব্যানার্জি) নিজে। পিসির কারণে জায়গা পেয়েছে, তিনি যদি বিজেপিতে থাকতেন তবে আমি তাকে বুথ সভাপতি বানাতাম না।" এর পরে বিজেপি নেতা পুরো আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, " যদি এক বাবার ছেলে হয়ে থাকে তবে সুকান্তের কাছে সিবিআই-ইডি পাঠাক। বাংলায় চলছে পিসি চপ ও চপ ইন্ডাস্ট্রি।"
এদিন সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এই বৈঠকে তমলুক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেন, 'নবান্ন অভিযানে যাব। এখানে হাজার হাজার বিজেপি সমর্থক থাকবেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী, আমরা নবান্নে তাদের বাড়ি থেকে তাদের চড় মেরে গঙ্গায় ফেলে দেব।"
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও চোরাচালানের ঘটনা প্রকাশের পর বিজেপি 'চোর ধরো, জেলে ভরো' অভিযান শুরু হয়েছে। জেলায়-জেলায় আন্দোলন হচ্ছে, বিক্ষোভ মিছিল করা হচ্ছে। 13 সেপ্টেম্বর, বিজেপি রাজ্য সচিবালয় নবান্ন অভিযানের আহ্বান জানিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। গোটা রাজ্যে এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।
No comments:
Post a Comment