উৎসবের মরশুম চলছে। পিতৃপক্ষের পর শারদীয়া নবরাত্রি পালিত হবে। এটি প্রতি বছর বাংলা মাসের আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত পালিত হয়। পরের দিন দশেরা পালিত হয়। একই সময়ে, কার্তিক মাসে দীপাবলি, এবং ছট পূজা সহ আরও অনেক উৎসব পালিত হয়। এজন্য এই সময় মানুষ পর্যটন স্থানে ঘুরতে যান। আপনি যদি উৎসব মরসুমে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনি দিল্লির আশেপাশের এই সুন্দর পাহাড়ি স্টেশনগুলিতে যেতে পারেন।
ভীমতাল:
ভীমতাল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত একটি খুব সুন্দর পাহাড়ি স্থান। নৈনিতালের খুব কাছেই এই শহর। এই হিল স্টেশনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। মহাভারত যুগের মহান যোদ্ধা ভীমের নামানুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয় ভিমতাল। এই শহরটি তার সুন্দর লেকের জন্যও বিখ্যাত। এখানে আপনি ভীমেশ্বর মহাদেব মন্দিরে গিয়ে ভগবান শিবের দর্শন করতে পারেন।
কাংড়া:
কাংড়া হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত একটি সুন্দর শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ২,৩৫০ ফুট। এই শহরটি ধৌলাধর পাহাড়ে অবস্থিত। কাংড়ায় ব্রজেশ্বরী দেবীর একটি শক্তিপীঠ মন্দির রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস মহাভারত যুগে পাণ্ডবরা মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। মধ্যযুগীয় ভারতে বহুবার মন্দিরটি লুট ও ধ্বংস করা হয়েছিল। মন্দিরটি ১৯২০ সালে পুনর্নির্মিত হয়েছিল। নবরাত্রির সময় মায়ের আশীর্বাদ ও দর্শনের জন্য আপনি ব্রজেশ্বরী দেবী মন্দিরে যেতে পারেন। এছাড়াও, মহারানা প্রতাপ সাগর হ্রদ, মাসরুর মন্দির, করেরি হ্রদ, চিন্ময় তপোবন ইত্যাদি জায়গায় যেতে পারেন।
নাহান:
দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে নাহানের দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। শিবালিক পর্বতমালায় ঘেরা নাহান তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এটি ১৬২১ সালে রাজা করণ প্রকাশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শহরটির নামকরণ করা হয়েছে সাধুর নামে। রেণুকা লেক, জয়তক জেলা, ত্রিলোকিনাথ গুহা মন্দির, জম্মু শিখর, ইত্যাদি হল হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর জেলায় অবস্থিত নাহানের দর্শনীয় স্থান।
No comments:
Post a Comment