অকাল জন্মের কারণে শিশুদের অন্ধত্বের আশঙ্কা, জেনে নিন সুরক্ষা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 22 October 2022

অকাল জন্মের কারণে শিশুদের অন্ধত্বের আশঙ্কা, জেনে নিন সুরক্ষা


গর্ভাবস্থার ৯ মাস পূর্ণ হওয়ার আগে একটি শিশুর জন্মকে অকাল জন্ম বলা হয়।  শিশুর অকাল জন্ম খুব গুরুতর বলে মনে করা হয়। এ কারণে শিশুরাও জন্মের পর থেকেই নানা সমস্যার শিকার হয়।  অপরিণত জন্মও শিশুদের অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ায়।  প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরিণত শিশুর জন্মের পেছনে বিভিন্ন কারণ দায়ী।  অকাল জন্ম শিশুদের অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ায়।  একটি গবেষণা অনুসারে, ছোট শিশুদের অন্ধত্বের প্রধান কারণ হল অকাল জন্ম বা রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি (ROP)।  আসুন এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।


 নবজাতক শিশুর অন্ধত্ব

 অকাল জন্মের কারণে নবজাতকদের অন্ধত্বের সমস্যা খুব দ্রুত বেড়েছে।  এসসিপিএম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ শেখ জাফর বলেন, আসলে গর্ভে শিশুর বিকাশ ৯ মাসের মধ্যে হয়।  গর্ভে ৯ মাস পূর্ণ হওয়ার পরে, শিশুর শরীরে সমস্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলি বিকাশ লাভ করে।  কোনো কোনো চিকিৎসার কারণে বা অন্য কোনো কারণে, শিশু যখন সময়ের আগেই জন্ম নেয়, তখন তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকমতো বিকশিত হয় না।  এ ধরনের শিশু যারা ৯ মাসের আগে জন্ম নেয়, তাদের শরীরের ওজনও অনেক কম থাকে এবং চোখের বিকাশও ঠিকমতো হয় না।  এই ধরনের শিশুদের চোখের রেটিনা সঠিকভাবে বিকশিত হয় না, যার কারণে তাদের এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়।


নবজাতক শিশুদের অন্ধত্বের কারণ -

 অকাল জন্মের কারণে শিশুদের অন্ধত্বের প্রধান কারণ চোখ ও রেটিনার সঠিক বিকাশ না হওয়া।  এই সমস্যাটিকে রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটিও বলা হয়।  গবেষণা এবং গবেষণা বলছে যে গর্ভের শিশুর চোখ এবং রেটিনার বিকাশ গর্ভাবস্থার ২০ তম সপ্তাহ থেকে ৪০ তম সপ্তাহের মধ্যে ঘটে।  এমন পরিস্থিতিতে ৪০ সপ্তাহের আগে শিশুর জন্ম হলে তার অন্ধত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়।


 কিভাবে রক্ষা করবেন?

 জন্মের সময় থেকেই অন্ধত্বের সমস্যা থেকে শিশুদের বাঁচাতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।  সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে শিশুর অবস্থা খুবই গুরুতর হয়ে যায়।  বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সচেতনতার অভাব এবং পরবর্তী তথ্যের অভাবে শিশুরা জন্মের আগ পর্যন্ত এই সমস্যার শিকার হয়।  প্রথমত, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্ক্রিনিং করে এই অবস্থা শনাক্ত করা যায় এবং তারপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিলে শিশুকে এই সমস্যা থেকে বাঁচানো যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad