আঠা হল গাছ থেকে নির্গত রস, যা শক্ত হওয়ার পর শক্ত হয়ে যায়। অনেক ঔষধি গুণ লুকিয়ে আছে এই আঠার মধ্যে। শীতকালে আঠা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ কারণে ঠান্ডা লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দিদা-ঠাকুরমারা আঠা দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেক ধরনের আঠা আছে।
উপকারিতা
আঠা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। শীতকালে আঠা দিয়ে তৈরি লাড্ডু খেলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায়। এই গন্ড লাড্ডু শিশু থেকে বয়স্ক সকলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি খেলে শরীরে উষ্ণতা আসে।
আঠা হার্টের জন্যও উপকারী। গন্ড লাড্ডু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এটি পেশীকেও শক্তিশালী করে।
স্তন্যপান করানো মহিলাদের জন্য আঠা উপকারী। গন্ড লাড্ডু গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
কিভাবে খেতে হয়
লাড্ডু ও চিক্কি আঠা বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া গাম পুডিংও দেখতে সুস্বাদু। গোন্ড কে লাড্ডু অনেক ভাবে তৈরি করা যায়। আঠা নারকেল, পাঞ্জিরি, পোস্ত বীজ এবং ময়দার সাথে মিশিয়ে লাড্ডু এবং চিক্কি তৈরি করা যেতে পারে। ঘি দিয়ে তৈরি এসব লাড্ডু শরীরকে শক্তিশালী করতে কাজ করে।
কোন আঠালো সেরা
বিভিন্ন গাছের আঠার স্বাদই আলাদা। এর উপকারিতাও আলাদা। পলাশের আঠা হাড় মজবুত করলেও নিমের আঠা রক্ত প্রবাহের উন্নতিতে সাহায্য করে। বেশির ভাগই বাবলার আঠা ব্যবহার করা হয়। বাবলা আঠা সুস্বাদু।
No comments:
Post a Comment