বিবিএ প্রথম সেমিস্টারের এক পড়ুয়াকে ব্ল্যাকমেল করে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ উঠল ৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকি তার গোপনাঙ্গে স্যানিটাইজার, মধু, টুথব্রাশ ও পেন্সিলও ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। নির্মম-নৃশংস এই র্যাগিংয়ের ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের স্নান করার সময় নগ্ন ভিডিও করা হয়। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে ৫ জন তাকে যৌন শোষণ করে। এরপর তার গোপনাঙ্গে স্যানিটাইজার, মধু, টুথব্রাশ ও পেন্সিল ঢুকিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। বর্তমানে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পাঁচ ছাত্রের মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং এখনও তাকে আটক করা হয়নি।
২০ অক্টোবর রাতে নির্যাতিতর বাবাএকটি অভিযোগ নিয়ে কুভাদভা রোড থানায় যান। তিনি জানান, তাঁর ছেলে পরিবারের সামনে ভেঙ্গে পড়ে এবং নির্মম এই ঘটনার কথা জানিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে। দুই দিন আগে, তিনি তার বড় বোনের সাথে যোগাযোগ করে এবং অনুরোধ করে যে, তিনি হাসপাতালে থাকতে চায় না। তখনই তার সন্দেহ জাগে এবং বাবাকে সবটা জানায়। বৃহস্পতিবার দু’জন তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি ভেঙে পড়েন এবং র্যাগিংয়ের লোমহর্ষক কাহিনী বর্ণনা করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত মাসে, স্নান করার সময় তাদের তিনজন তার নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করেছিল। তাদের নির্দেশ না মানলে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন তখন তাকে তিনটি বিকল্প দেয়, তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার, তার কান কেটে ফেলার বা হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফ দিতে। নির্যাতিত যখন কান্নাকাটি শুরু করে এবং তাদের সাথে অনুনয়-বিনয় করতে শুরু করে, তখন অভিযুক্তরা তাকে বলে যে, তাদের কাছে আরেকটি বিকল্প আছে যাতে তার রাজি হওয়া উচিৎ।
এফআইআর-এর বিবরণ অনুসারে, তারা তাকে পোশাক খুলতে বাধ্য করেছিল এবং তার মলদ্বারে স্যানিটাইজার, মধু এবং পাউডার ঢেলে দেয়। এরপর একটি পেন্সিল ও টুথব্রাশও ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তিন ঘন্টা ধরে এই নির্যাতন চলে। কয়েকদিন আগেও তারা একই নির্যাতন চালায়, যেখানে নাবালক অভিযুক্তও ছিল।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন-১), সজ্জনসিংহ পারমার বলেছেন যে, পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩৭৭ (অপ্রাকৃতিক যৌনতা), ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) এবং অন্যান্য ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং আমরা মামলাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করছি। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সকল অভিযুক্ত এবং নির্যাতিত ছাত্র সৌরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
No comments:
Post a Comment