জয়েন্টে ব্যথা সাধারণত বার্ধক্যজনিত রোগ হিসেবে বিবেচিত হলেও গত কয়েক বছরে যৌবনেও এই সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে। 30 থেকে 35 বছরের মানুষও জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন। অনেক সময় শিশু-কিশোরদের মধ্যেও এসব সমস্যা সামনে আসছে। সাধারণত আমাদের দুর্বল জীবনধারা এর জন্য দায়ী কারণ আমরা বেশিরভাগ সময় টিভি এবং ল্যাপটপের সামনে ব্যয় করি, অন্যদিকে শিশুরাও মাঠে যাওয়ার চেয়ে অনলাইন গেমগুলিতে বেশি সময় দিচ্ছে।
জয়েন্টে ব্যথার কারণে
জেনেটিক কারণ।
আঘাতের কারণে ব্যথা।
- পেশী দুর্বল হওয়া।
- অটোইমিউন ডিসঅর্ডার।
- শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব।
অত্যধিক স্থূলতা।
জয়েন্টের ব্যথা চিনবেন কীভাবে?
এ রোগে শরীরের জয়েন্টগুলোতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
শীত মৌসুমে এই ব্যথা বাড়ে।
কখনও কখনও এতটাই ব্যাথা হয় যে হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়ে।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা ও নামার সময় জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায়।
ক্লান্তি এবং ভাঙ্গা শরীর অনুভূত হতে থাকে।
জয়েন্টের ব্যথা কীভাবে এড়ানো যায়?
আপনার যদি গত কয়েক বছর ধরে জয়েন্টে ব্যথা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং তা দূর করার উপায় খুঁজুন। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এই সমস্যা এড়ানো যায়।
খুব ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নানের এড়িয়ে চলুন কারণ ঠাণ্ডা জল জয়েন্টের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
খুব বেশি ঠান্ডা বাতাস বইছে, ঘর থেকে বের হবেন না এবং দরজা জানালা বন্ধ করুন।
শীতকালে স্নানের জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করুন, কারণ এটি জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমায়।
নিজেকে ধূপ দেখাতে থাকুন এবং শরীরে তেল মালিশ করার চেষ্টা করুন।
আপনি চাইলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনের সাহায্য নিতে পারেন।
- আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি 12 ভিত্তিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন
- শরীরকে উষ্ণ রাখুন, ঠান্ডা হতে দেবেন না অন্যথায় সমস্যা বাড়তে পারে।
No comments:
Post a Comment