বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ক্রমাগত দাবী করছেন যে, ডিসেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন হবে। ডিসেম্বরে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার থাকবে না। এরই মাঝে আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবী করলেন মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি দাবী করেন, একজন তৃণমূল বিধায়ক, একজন প্রাক্তন বিধায়ক এবং জেলার চারজন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। বিজেপি সাংসদের এই দাবীর জেরে ফের উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি।
বিজেপি সাংসদ আরও দাবী করেন, তৃণমূল নেতারা ইতিমধ্যে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে তাদের চূড়ান্ত আলোচনা শেষ করেছেন। এ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি নেতার দাবী, তৃণমূলের অনেক নেতা আবার যোগাযোগ করেছেন। বহু কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির হয়ে কাজ শুরু করেছেন। তবে, যে ফ্রন্টলাইন নেতারা টিএমসি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'তৃণমূল এখন তোলামূল দলে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন বিশ্বনেতা। তাই তাকে নিয়ে সবার আগ্রহ। এখন মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে চায় না। তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তারা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চান এই ভেবে যে, ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার টিকে থাকবে কিনা! কিন্তু আমাদের দলের একটা আদর্শ আছে। কাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় কমিটি।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ফুল বদলের হিড়িক পড়েছিল, অনেক তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরে ঠিক এর উল্টো দৃশ্য দেখা যায়। অনেক তৃণমূল নেতা ঘরে ফেরেন। বর্তমানে ফুল বদলের প্রবণতা দেখা না গেলেও, কিছুদিন আগেই বলিউড সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী দাবী করেছিলেন যে, ৩৮ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর এবং দলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। মিঠুনের এই বক্তব্যের পর বেশ তোলপাড় শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। এবারে সেই আচেই ধুনো দিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মূু।
No comments:
Post a Comment