নবরাত্রি শেষ হওয়ার সাথে সাথে, এই বছর ৫ অক্টোবর দেশ জুড়ে দশেরা উদযাপিত হবে। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, দশেরার দিনেই শ্রী রাম, লঙ্কার রাজা রাবণকে মেরেছিলেন। লঙ্কার রাজা ছাড়াও রাবণ ভোলেনাথের পরম ভক্ত ছিলেন। রাবণকে বড় পণ্ডিতও বলা হয়।
প্রাচীনকাল থেকেই দশেরার দিনে রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। এভাবেই অধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের বিজয় প্রদর্শিত হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, আমাদের দেশে এমন অনেক মন্দির আছে, যেখানে দশানন পূজা করা হয়? দশেরার আগে, দেশে অবস্থিত রাবণের মন্দিরগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেখানে এই দিনে শোক এবং নীরবতার পরিবেশ থাকে।
লঙ্কেশ্বর উৎসব
কর্ণাটকের কোলার জেলায় লঙ্কেশ্বর উৎসব হয়। এতে রাবণের পূজা করা হয়। এরপর রাবণের পাশাপাশি শিবের মূর্তিও শোভাযাত্রায় বের করা হয়। উল্লেখ্য, শিবের ভক্ত হওয়ার কারণে এখানে রাবণের পূজা করা হয়।
বিদিশা
মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত বিদিশা হল লঙ্কাপতির প্রিয়তমা স্ত্রী মন্দোদরীর জন্মস্থান। এই দিক দিয়ে এটি রাবণের শ্বশুরবাড়ি। বিদিশায় দশ ফুট উঁচু দশানন রাবণের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। দশেরার দিন এখানে রাবণের পূজা করা হয়।
মন্দসৌর
দেশের মধ্যে লঙ্কানরেশের প্রথম মন্দির তৈরি হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে। এখানে রুন্ডি নামে রাবণের একটি বিশাল মূর্তি রয়েছে, যার পূজা করা হয়। এই মূর্তির সামনে নারীরা বোরখা পরে যান। বিশ্বাস অনুসারে, এটি মন্দোদরীর বাপের বাড়ি এবং এখানকার মহিলারা জামাইয়ের সামনে পর্দা ছাড়া যান না।
বৈজনাথ
হিমাচল প্রদেশের বৈজনাথেও রাবণের পূজা করা হয়। ধারণা করা হয়, এখানে দশানন ভোলেনাথকে খুশি করার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তাই এখানে মন্দির না থাকলেও রাবণের পূজা করা হয়। দশেরায় এখানে রাবণ দহন হয় না।
কানপুর
উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার রাবণের মন্দির বছরে একবার খোলে। দশেরার দিনে, শিবালা এলাকায় দশানন মন্দিরে স্থাপিত রাবণের মূর্তি সাজিয়ে আরতি করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে মানত করলে, তা অবশ্যই পূরণ হয়।
No comments:
Post a Comment