রাজ্য সচিবালয় নবান্নে ৫ নভেম্বর ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকের আগে নাকি পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আলাদা বৈঠক হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও এমন কোনও বৈঠকের কথা বলা হয়নি, এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিতে চান না কিছু প্রশাসনিক কর্তা। এই বৈঠকে যোগ দিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও কলকাতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এটাই হবে মমতা ও নীতীশের প্রথম বৈঠক। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কেরও বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈঠকে যোগ দিতে ৫ নভেম্বর কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। মন্ত্রণালয়ের আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন। পরিষদের সহ-সভাপতি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও ওই পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রস্তুতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বাকিদের কী কী উপহার দেওয়া হবে, তা ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বাংলার নিজস্ব শৈল্পিক চাদর, হস্তশিল্প বর্তমান রীতি মেনে অতিথিদের দেওয়া হতে পারে। এসবের ওপর নজরদারি করবে শিল্প বিভাগ। নবান্নে অনুষ্ঠিত এই সভার নিরাপত্তায় যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য, কাউন্সিলের সভা ২০২০ সালে ওড়িশায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলায় শেষ সভা হয়েছিল নবান্নে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিং। এই বৈঠকে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে। ওড়িশায় বৈঠকের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছিল। এবার বিশেষ কিছু না হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি পাঞ্জাব ও আসামে বিএসএফ-এর অপারেশনাল এলাকা বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের মতে, বিএসএফ-এর এলাকা হিসেবে যে এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে, তা রাজ্য পুলিশের এখতিয়ারে আসে। তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবিত এক দেশ এক পুলিশ প্রসঙ্গও উঠতে পারে বৈঠকে।
No comments:
Post a Comment