যারা অনুসন্ধানকারী বা গুপ্তধনের সন্ধানকারী, তাদের কাজ খুবই কঠিন। তারা ধ্বংসস্তূপে বা মাটির নিচে জিনিস খোঁজে। তারা প্রায়শই কয়েক মাস সময় নিয়ে কাজ করার পরও কিছুই পায় না, এবং যদি ভাগ্য ভাল হয় তবে অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তারা জিনিস খুঁজে বের করার জন্য, একটি মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে, যাতে মাটিতে পুঁতে থাকা ধাতব জিনিস সহজেই সনাক্ত করা যায়। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি ও একই কাজ করেছে এবং তার হাতে একটি বাক্স লেগেছে।
ডেইলি স্টার নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুসারে, ডিন পুগ, ৫৪,ইংল্যান্ডের ব্রমসগ্রোভের গ্রামীণ এলাকায় তার ২৬-বছরের ছেলে ওয়েনের সঙ্গে হাঁটছিলেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ গুপ্তধন শিকারী। তার কাছে একটি ডিটেক্টর কিটও ছিল। একটি মেটাল ডিটেক্টরের উপর নির্ভর করে, তিনি ওই এলাকায় মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা কোনো ধরনের ধন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন । এমন সময় হঠাৎ তার মেটাল ডিটেক্টর তাকে বলল যে মাটির নিচে একটা বাক্স আছে। দুজনেই যখন সেই বাক্সটা বের করে খুলে দেখল ওটা থেকে এমন একটা জিনিস বেরিয়ে আসে, যেটা দেখে তাদের হুঁশ উড়ে গেল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাক্সে একটি বহু পুরনো প্রাপ্তবয়স্ক ম্যাগাজিন বেরিয়েছিল। ডিনের মনে হয়েছিল বাক্স থেকে খুব প্রাচীন বা ঐতিহাসিক কিছু বেরিয়ে আসবে, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিনটি দেখে তার হুঁশ উড়ে গেল। পত্রিকার কিছু পাতা একে অপরের সঙ্গে আটকে গিয়েছিল, যার কারণে তারা বুঝতে পেরেছিল যে সেটি সেখানে অনেক দিন ধরে লুকিয়ে ছিল। তিনি জানান, জঙ্গলে পুঁতে রাখা এ ধরনের জিনিস হাজার-লাখ টাকায় পাওয়া যায়, তবে পত্রিকাটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে মজার জিনিস।
ডিন অনুমান করেছিলেন যে হয় কোন যুবক তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এটি লুকানোর জন্য পত্রিকাটি সেখানে পুঁতে রেখেছেন বা বিকৃত মানসিকতার কোন ব্যক্তি অবশ্যই সেখানে এসেছিল। ডিন বলেন যে প্রথমে তিনি তা দেখেছিলেন এবং এটি দেখে তার ছেলেকে ডাকেন। দুজনেরই এই অভিজ্ঞতা বেশ মজার মনে হয়েছে। ডিন প্রায়ই মাটির নিচে অদ্ভুত জিনিস খুঁজে পান। তারা প্রাপ্তবয়স্কদের খেলনা, লুকানো গাঁজা এবং মহিলাদের অন্তর্বাস খুঁজে পেয়েছে। তিনি বলেন, যখন মানুষ ডিন এবং ম্যাগাজিন সম্পর্কে জানতে পারে, তখন মানুষ সেই পত্রিকা পেতে টাকা দিতে শুরু করে। এক ব্যক্তি তাকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রস্তাবও দেন। যাইহোক, তিনি পত্রিকাটি রাখেননি, বরং এটি ভাঁজ করে একটি খরগোশের গর্তে ফেলে দেন।
No comments:
Post a Comment