কেন কিছু শিশু দেরিতে কথা বলে? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 5 November 2022

কেন কিছু শিশু দেরিতে কথা বলে?


অনেক সময় দেখা গেছে শিশুরা অল্প বয়সেই কিছু শব্দ উচ্চারণ করতে শেখে, আবার কিছু শিশু আছে যাদের কথা বলতে অনেক সময় লাগে।  যখন শিশুরা দেরিতে কথা বলতে শেখে, তখন অভিভাবকরা তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।  সাধারণত এক বছর পর শিশুরা কিছু না কিছু বলতে শুরু করে।  আমরা আপনাকে বলি যে প্রতিটি শিশুর শারীরিক বিকাশ আলাদা, তাই কিছু শিশু সময়মতো কথা বলতে শেখে, আবার কেউ দেরিতে কথা বলা শুরু করে।  বাচ্চাদের দেরিতে কথা বলা শুরু করার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।  বিজ্ঞানের মতে, শিশুরা তাদের মায়ের অঙ্গভঙ্গি এবং তার ঠোঁট দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর চেষ্টা করে।  বাচ্চাদের সামনে হাততালি দিয়ে ডাকলে বা দ্রুত নাম ধরে ডাকলে তারা সঙ্গে সঙ্গে ওই দিকে তাকাতে শুরু করে।  আসুন জেনে নেই শিশুদের দেরি করে কথা বলার কারণ, লক্ষণ ও তাড়াতাড়ি ফোন করার বিশেষ উপায়।


 বাচ্চাদের দেরিতে কথা বলার কারণ


 বাচ্চাদের দেরিতে কথা বলা অনেক সমস্যার কারণে হতে পারে।  জন্ম, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবস্থা, জেনেটিক কারণও এর পেছনে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।  শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন তাদের শ্রবণশক্তি ও কথা বলার ক্ষমতা।  এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা যখন সঠিক সময়ে কথা বলা শুরু করে না, তখন অভিভাবকরা এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।  শিশুদের দেরিতে কথা বলা শুরু করার অনেক কারণ থাকতে পারে যা নিম্নরূপ।

 


 1. বাচ্চাদের দেরীতে কান্না।


 2. গর্ভাবস্থায় মা জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে।


 3. জন্মের সময় শিশুর মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে।


 4. সময়ের আগেই সন্তানের জন্মের কারণে।


 5. শিশুদের শ্রবণ সমস্যার কারণে।


 6. কানের সংক্রমণের কারণে।


 7. তালুতে সমস্যার কারণে।


 8. শিশুদের সেরিব্রাল পলসি হলে।


 9. কথা বলার সমস্যা জেনেটিক।


 দেরিতে কথা বলা শিশুদের প্রতিরোধ


 অনেক কারণে শিশুরা দেরিতে কথা বলতে শুরু করে।  শিশুদের দেরিতে কথা বলার সমস্যা এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন।  একটি শিশুর মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণের সর্বোত্তম উপায় হল তার সাথে কথা বলা।  আপনি যত বেশি শব্দ বলবেন, শিশুর মস্তিষ্ক তত বেশি শব্দ বোঝা ও বোঝার চেষ্টা করবে।  এটি তার মনকে নিযুক্ত রাখবে এবং তার শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করবে।  গর্ভ থেকেই শুরু হয়।  জন্মের পর, আপনার শিশুকে হাঁটতে নিয়ে যান এবং তাকে তার চারপাশে ঘটছে এমন ঘটনা সম্পর্কে কথা বলতে সাহায্য করুন।  যদি তারা আপনার মাথা নেড়ে বা তাদের হাত নাড়িয়ে বা আপনার দিকে ইশারা করে আপনার প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয় তবে এটি তাদের আরও কথা বলার জন্য প্ররোচিত করবে।  লালন-পালনের সময় শিশুদের অভিভাবকদের সবসময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।



 বাচ্চাদের সাথে বেশি সময় কাটান, তাদের কথা বলার প্রশিক্ষণ দিন।


 বাচ্চাদের সাথে ঘন ঘন কথা বলার চেষ্টা করুন।


 বাচ্চারা যে কথাগুলো বলে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করুন।


 বাচ্চাদের সামনে জোরে জোরে বই পড়ুন।


 বাচ্চাদের বেশি টিভি দেখতে দেবেন না।


 বাচ্চাদের কিছু জিনিস মুখস্ত করতে দিন এবং তাদের পুনরাবৃত্তি করতে সাহায্য করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad