কর্ণাটকের পর এবার বর্ণবৈষম্যের ঘটনার অভিযোগ খাস কলকাতায়। কলকাতার বিটি রোডে অবস্থিত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক আদিবাসী দম্পতি কর্মচারীকে নিম্ন বর্ণের বলে অন্য কর্মচারীরা মারধর করা, এমনকি তাদের চত্বরের কল থেকে জলও পান করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট সাত কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের একজনকে সাসপেন্ড এবং ছয়জনকে ডিসমিস করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মহানগরের সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দম্পতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মানিক হেমব্রম ও তাঁর স্ত্রী শকুন্তলা হেমব্রম। হেমব্রম দম্পতি অভিযোগ করেছেন যে, তাদের সহকর্মীরা তাদের নিচু বর্ণের কথা বলে অপমান করেছে। শুধু তাই নয়, চত্বরে বসানো কলের জলও পান করতে দেওয়া হয়নি তাদের। দম্পতিকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। মানিক হেমব্রম জানান, মারধরের সময় তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সহকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।" বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, অভিযুক্তরা এর আগেও কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একজন স্থায়ী কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মরত ছয় কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের একটি গ্রামে এমনই কিছু ঘটনার অভিযোগ ওঠে। এখানে এক দলিত মহিলা উচ্চবর্ণের মানুষের ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করেছিলেন। এর পরে জলের ট্যাঙ্ক থেকে সমস্ত জল নিষ্কাশন করা হয় এবং পরে ট্যাঙ্কটি গোমূত্র দিয়ে 'শুদ্ধ' করা হয় বলে অভিযোগ।
No comments:
Post a Comment