রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অখিল গিরিকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবী করেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর প্রশ্ন, 'অখিল গিরিকে মন্ত্রীর পদ থেকে কবে সরাবেন?'
এএনআই-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি ইরানি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সম্পর্কে কিছু বলছেন না। আমরা রাষ্ট্রপতি মুর্মুর বিরুদ্ধে ওই মন্ত্রীর কথা শুনতে চাই না, আমরা জানতে চাই মমতা'জি কবে ব্যবস্থা নেবেন? অখিল গিরিকে দল থেকে সরিয়ে দিন।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার নন্দীগ্রামে একটি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় মন্ত্রী অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, “তিনি (শুভেন্দু অধিকারী) বলেছেন যে, আমি সুদর্শন নই। তুমি কত সুন্দর! আমরা কাউকে তার চেহারা দিয়ে বিচার করি না। আমরা তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে সম্মান করি, কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?" এরপরেই বিজেপির রোষানলে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শাসক-বিরোধী নেতাদের বাকযুদ্ধে তেতে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। হুমকি-হুঁশিয়ারি-কটাক্ষ বাদ যাচ্ছে না কিছুই, এর থেকে রেহাই পেলেন না দেশের রাষ্ট্রপতিও। নন্দীগ্ৰামে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়েই বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে বসেন, যা নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
রাজ্যের শাসক দলকে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। যদিও অখিল গিরির বিবৃতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে তৃণমূল এবং বিবৃতিটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। অখিল গিরিও তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু ক্ষোভের আঁচ প্রশমিত হয়নি।
কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে বিজেপি সমর্থকরা। যেখানে নন্দীগ্রামে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন অখিল গিরি, সেখানে তারা অখিল গিরির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন এবং তার পদত্যাগ দাবী করেন। এর পাশাপাশি গোবর-জল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয় ঐ জায়গার।
No comments:
Post a Comment