সেনা কর্মীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি! কাঠগড়ায় শাসক দলের নেতা

সেনা কর্মীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও তার অনুগামীদের কাছ থেকে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের। 

দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত ছোটজাগুলিয়া মণ্ডলগাথী এলাকার বাসিন্দা সেনা কর্মী বিপ্লব বিশ্বাস। কর্মসূত্রে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলায় থাকেন তিনি। তবে স্ত্রী-কন্যা বামনগাছির মণ্ডল গাথীর বাড়িতে থাকে। অভিযোগ, সেনা কর্মীর স্ত্রীকন্যাকে বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে, অভিযোগ তির ছোটজাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার দেওরের দিকে। 

উল্লেখ্য, দুর্গাপূজার সময় স্থানীয় ক্লাব এই সেনা কর্মীর বাড়ি থেকে ৬০০০ টাকা চাঁদা ধার্য করে, সেনা কর্মীর স্ত্রী ৫০০ টাকায় দেওয়ায় পর থেকেই লাগাতার স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ও তার অনুগামীরা ওই পরিবারের ওপর মানসিক ভাবে অত্যাচার চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তার আত্মীয়ের বাড়ির পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এবং রাস্তা তৈরীর জন্য পঞ্চায়েত সদস্যের দেওর অভিযুক্ত চন্দন বিশ্বাস টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। 

 

এই নিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সেনা কর্মীর স্ত্রী। 

এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, কিছুদিন আগে সমস্যা হয়েছিল বলে তিনি জানেন। তবে চাঁদা নিয়ে বা তার দেওরের মদতে সেই পরিবারের ওপর অত্যাচার হচ্ছে কিনা তা তার জানা নেই। 

অন্যদিকে, সেনাকর্মীর পরিবারের সদস্যরা জানান, রাস্তা করার সময়ও টাকা নিয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যার দেওর। এখানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যেখানে পঞ্চায়েত থেকে রাস্তা তৈরি বা ড্রেন তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেখানে কোনও রশিদ ছাড়াই কীভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হল? 

এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, তবে রাস্তা উঁচু করার জন্য এরকম ভাবে টাকা নেওয়া হয় এমনও তিনি জানিয়েছেন। এই পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে তার দেওর সবটা জানে বলেও তিনি জানিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত দেওরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি। 

এ বিষয়ে ছোটজাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, রাস্তার জন্য টাকা তোলার কোনও অভিযোগ তার কাছে আসেনি,অভিযোগ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে। পাশাপাশি শাসক দলকে কটাক্ষও করেছেন তিনি। 

যেখানে সেনাকর্মীরা নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে দেশবাসীর সুরক্ষায় প্রাণপাত করেন, সেখানে তাঁর নিজের পরিবারকেই প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।