রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়ার চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক অক্ষমতার কারণে স্বাস্থ্য নিয়ে বাংলায় জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শিল্পী সাহা(৫৪)। এক দিন আগে শনিবার, ৪০ বছর বয়সী কাবেরী চক্রবর্তীও ডেঙ্গুর কারণে মারা যান।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে বর্তমানে ৫০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুর কবলে। সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে ১০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের অনেক জেলাই ডেঙ্গির কবলে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং হুগলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিবাচকতার হার কলকাতায় ৩৫ শতাংশ, হুগলিতে ২৩ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ১৮ শতাংশ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের তুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। ৪৩তম সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি, ডেঙ্গুর কারণে মৃতের সংখ্যাও খুবই উদ্বেগজনক, তবে রাজ্য সরকার এই পরিসংখ্যান পরিবর্তন করছে।
তিনি বলেন, আর্থিকভাবে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গের সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহ করেনি, যাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ কারণে এই প্রাদুর্ভাব এমন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রাজ্যের পুরসভাগুলি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, ডেঙ্গুর ঘটনা আড়াল করছে রাজ্য সরকার। বাংলা সরকারকে সাহায্য করার জন্য চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলায় পাঠানোর কথা বলেন শুভেন্দু, যাতে বাংলার মানুষ এই মহামারী থেকে মুক্তি পেতে পারে।
No comments:
Post a Comment