চাণক্য তার নীতিতে মানুষের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। তাঁর নীতির উপর ভিত্তি করে শাস্ত্রের নাম চাণক্য নীতি। চাণক্য নীতি প্রাচীনকালে যেমন সফল ছিল। এটি বর্তমানে সমানভাবে কার্যকর। তার নীতি অনুসরণ করে অনেকেই সফলতা অর্জন করেছেন। আজও আমরা চাণক্যের এমনই কিছু নীতির কথা বলতে যাচ্ছি, যেগুলো অবলম্বন করে গরিব থেকে গরিব মানুষও ধনী হতে পারে।
জ্ঞান
চাণক্য তার নীতিতে বলেছেন যে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার অজ্ঞতা। এমতাবস্থায় সবার আগে এই অজ্ঞানতাকে ধ্বংস করে জীবনে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে হবে। জ্ঞান সকল দুঃখ-বেদনা দূর করতে সহায়ক। এটি সাফল্যের একটি নতুন পথ দেয়।
দান
চাণক্য নীতি অনুসারে, আপনার আয় যতই হোক না কেন, এর কিছু অংশ দাতব্য ও ভালো কাজে ব্যবহার করা উচিৎ । এতে করে দারিদ্র্য দূর হয় এবং মানুষ সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকে।
ধর্মগ্রন্থ
আচার্য চাণক্যের মতে, পৌরাণিক যুগ থেকে অনেক ধর্মীয় গ্রন্থ মানুষের কাছে বিদ্যমান। এর মধ্যে মানুষের জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য জ্ঞান থেকে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। এমন অবস্থায় ধর্মীয় গ্রন্থ পড়তে হবে। এগুলোতে প্রদত্ত চিন্তাভাবনা শুদ্ধ করার পাশাপাশি জীবনের চলমান দুর্দশার অবসান ঘটাতেও অনেকাংশে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়।
সততা
চাণক্য নীতি অনুসারে, সময় বা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একজনকে সর্বদা সততার পথ অনুসরণ করা উচিৎ । যারা তাদের কাজ সততার সাথে করেন এবং কাউকে ঠকায় না, মা লক্ষ্মী তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং সর্বদা তাঁর কৃপা রাখেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment