চন্দন বিশেষভাবে হিন্দু আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। হলুদ, লাল এবং সাদা চন্দন এর মধ্যে বিশিষ্ট। দেবতাদের পূজায় চন্দন বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। জেনে নিন লাল চন্দনের কিছু প্রতিকার সম্পর্কে।
হিন্দু ধর্মে, শনিদেব ন্যায়বিচারের দেবতা এবং কর্মের দাতা হিসাবে পরিচিত। শুধু মানুষ নয়, দেবতারাও শনির ক্রোধে ভীত। কথিত আছে যে শনিদেব ব্যক্তিকে তার ভালো-মন্দ কর্ম অনুসারে ফল দেন। ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শনির অশুভ অবস্থান ব্যক্তির জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। ব্যক্তিটি চারদিক থেকে সমস্যায় ঘেরা। অন্যদিকে, শনি যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শুভ অবস্থানে থাকে তবে সেই ব্যক্তি সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করেন।
শাস্ত্র অনুসারে শনিদেব যদি কারো প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং তার প্রতি সদয় হন তবে তিনি তাকে রাজা করেন। এমন পরিস্থিতিতে শনির আশীর্বাদ পেতে সবাই নানা উপায় অবলম্বন করে। এতে লাল চন্দনের কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার খুবই বিশেষ। এগুলো নিয়মিত করলে ব্যক্তি শনি সারে সতী ও ধাইয়ার হাত থেকে মুক্তি পায়। আসুন জেনে নেই লাল চন্দন সংক্রান্ত কিছু বিশেষ ব্যবস্থা সম্পর্কে।
লাল চন্দনের জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার
আপনি যদি শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে চান এবং তাকে খুশি করতে চান তবে শনিবার লাল চন্দনের পেস্ট লাগান। এতে করে একজন ব্যক্তি শনির অর্ধ- সতী থেকে মুক্তি পাবেন।
সেই সঙ্গে ব্যবসা ও চাকরিতে সাফল্য পেতে লাল চন্দনের ব্যবস্থা খুবই বিশেষ। মঙ্গলবার ১১টি পিপলের পাতায় লাল চন্দন দিয়ে রামের নাম লিখুন। এর পরে, এই পাতাগুলির একটি মালা তৈরি করুন এবং হনুমান জিকে অর্পণ করুন। এতে করে ব্যবসা বাড়তে থাকে।
- বাড়িতে বাস্তু দোষের কারণে ব্যক্তির সমস্যা হয়। এছাড়াও, পরিবারের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করুন। পরিবারে সুখ, শান্তি, ঐশ্বর্য ও জাঁকজমকের অভাব পরিবারে সমস্যার সৃষ্টি করে। এমন অবস্থায় বাস্তুর দোষ দূর করতে অশ্বগন্ধা, গোকরচূর্ণ, লাল চন্দন ও কর্পূর মিশিয়ে বাড়িতে ৪০ দিন হবন করলে ঘরের বাস্তু দোষ দূর হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, আপনি যদি ব্যবসা এবং পরীক্ষায় সাফল্য না পান তবে নিয়মিত লাল চন্দনের তিলক লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment