গিজারের গ্যাসে হতে পারে মৃত্যু, আজই সাবধান হোন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 21 November 2022

গিজারের গ্যাসে হতে পারে মৃত্যু, আজই সাবধান হোন


হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি বেদনাদায়ক ঘটনা সামনে এসেছে। রুচা নামে একটি হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্বাসরোধে মারা যান। সে বাথরুমে স্নান করতে গিয়েছিল এবং অনেকক্ষণ বাইরে আসেনি। পরিবারের লোকজন আওয়াজ তুললে তারাও কোনো সাড়া পাননি। এরপর বাথরুমের গেট ভাঙলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তার জীবন বাঁচানো যায়নি। 


পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বাথরুমের গিজার খোলা রেখেছিল, যার জেরে গোটা বাথরুম গ্যাসে ভরে গিয়েছিল। অক্সিজেন না পেয়ে তিনি মারা যান।  এমতাবস্থায় জেনে রাখা জরুরী যে আপনি যদি কখনও এমন পরিস্থিতিতে আটকা পড়েন তাহলে পালানোর উপায় কি।


গিজার কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া উচিত


বাথরুমে গিজার থাকলে...


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির বাথরুমে গিজার বসানো থাকলে বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধুমাত্র আইএসআই মার্ক সহ একটি নামী কোম্পানির বড় বা ছোট গিজার ব্যবহার করুন। 


গিজার বেশিক্ষণ চালু রাখবেন না


গিজার যদি গ্যাসের হয় তবে তাতে এলপিজি ব্যবহার করা হয়। এই গিজারগুলি বিপজ্জনক কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রো অক্সাইড তৈরি করে। এই গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে মানুষও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। বাথরুম বন্ধ থাকলে এবং দীর্ঘক্ষণ গিজার চালু থাকলে শ্বাসরোধ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন নেই। এর খপ্পরে থাকা ব্যক্তি নড়াচড়াও করতে পারে না।


গ্যাস গিজারে এই সাবধানতা অবলম্বন করুন


গ্যাস গিজার লাগানো থাকলে বাথরুমের বাইরে গিজার ও গ্যাস সিলিন্ডার রাখুন। 


গেট বন্ধ করার আগে বালতিতে গরম জল ভরে নিন।


বাথরুমে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।


একজন সদস্য স্নান করার পর বাথরুমের দরজা কিছুক্ষণ খোলা রেখে দিন


অনেকের একের পর এক স্নান বাথরুমে কার্বন মনোক্সাইড জমে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।


কার্বন মনোক্সাইড কেন বিপজ্জনক?


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্যাস মানুষকে অজ্ঞান করে দেয় এবং মন কোমায় চলে যায়। এই গ্যাস শরীরে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্তকণিকাকে আক্রমণ করে। আমরা যখন শ্বাস নিই, তখন হিমোগ্লোবিনও অক্সিজেনের সাথে মিশে যায়। এর সাহায্যে অক্সিজেন ফুসফুসের মাধ্যমে শরীরের বাকি অংশে যায়। অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রা কম, বমি ও পেটে অস্বস্তি, নিম্ন রক্তচাপ, বমি বমি ভাব, নার্ভাসনেস, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad