পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বলেন যে একদিন আগে তার উপর হামলায় তার ডান পায়ে চারটি গুলি লেগেছিল। ইমরান খান তার 'হাকিকি আজাদি মার্চ'-এর অংশ হিসেবে পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ছিলেন যখন তিনি এই মারাত্মক হামলার শিকার হন। প্রাণঘাতী হামলার পর শওকত খানম হাসপাতাল থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, তাকে খুনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন।
70 বছর বয়সী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) প্রধান দাবী করেছেন, "আমি পরে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব। আমি একদিন আগে (হামলা থেকে) জানতে পেরেছিলাম যে তাদের পরিকল্পনা আমাকে ওয়াজিরাবাদ (পাঞ্জাব প্রদেশে) বা গুজরাটে মেরে ফেলবে। আমি চারটি গুলি খেয়েছি।”
ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খানের চিকিৎসা করা চিকিৎসক ফয়সাল সুলতান বলেন, ইমরান খানের ডান পায়ের টিবিয়া (পায়ের প্রধান হাড়) ভেঙে গেছে। সুলতান জানান, "স্ক্যানে (এক্স-রে)ডান পায়ে যে লাইনটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হল মূল ধমনী (ব্লাড টিউব)। গুলিটি তার খুব কাছে ছিল।" ইমরান খানের কনভয়, যা দেশের শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মার্চ করছিল, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ জেলায় পৌঁছলে, তার কন্টেইনারে গুলি চালানো হয়। হামলায় ইমরান খান ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
ইমরান খান বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন হামলার শিকার হন। হামলায় ইমরান খানের পায়ে চারটি গুলি লাগে। এই হামলায় একজন নিহত এবং অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরের আল্লাহওয়ালা চকের কাছে ঘটনাটি ঘটে যখন ইমরান খান আগাম নির্বাচনের দাবীতে ইসলামাবাদে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার জেরে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তেহরিক-ই-ইনসাফ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মানুষ রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করে।
No comments:
Post a Comment