শুভেন্দু মোকাবেলায় এবারে তৃণমূলের তুরুপের তাস কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার "দায়িত্ব" দেওয়া হয়েছে তাকে৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং হলদিয়ায় উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কুণালকে এই 'বিশেষ দায়িত্ব' দেওয়া হয়েছে। জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে থাকলেও, তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়ে কখনও কলকাতার বাইরে যাননি, তবে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও হলদিয়া উপনির্বাচনের কৌশল তৈরি করবেন কুণাল।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর এপ্রিলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই গুরু দায়িত্ব পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কুণাল ঘোষকেই এবারে হাতিয়ার করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। মঙ্গলবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, একই উদ্দেশ্যে হলদিয়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার হলদিয়ার বাড়িতে আনুষ্ঠানিক 'হাউস এন্ট্রি' হল। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি দলের প্রতি অনুগত এবং দুঃসময়ের সৈনিক। দায়িত্ব দেওয়া হলে দল পিছপা হননি। এবারও ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। জেলার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার কাজ করবেন। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পূর্ব মেদিনীপুরে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তা করব।"
দুর্গা পুজোর পর বিজয়া সম্মেলনীর মাধ্যমে জেলায় জনসংযোগের কাজ করেছে তৃণমূল। কুণাল নিজে পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বহু জায়গায় সভা করেছেন। তবে নন্দীগ্রাম জেলায় তার তৎপরতা লক্ষণীয় ছিল। নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মেলনীতে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রেও কুণালের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনিও সুফিয়ানের সঙ্গে বিজয়ার অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন। এছাড়াও, জেলার আরও বহু বিজয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুণাল। এবার তাকে ওই জেলারই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment