রাজ্য সরকার সব সময় কেন্দ্রের দিকে হাত বাড়িয়ে টাকা দাবী করে। খোঁচা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। শনিবার দার্জিলিং যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিলিগুড়িতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি।
সুকান্ত বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উশৃঙ্খল শাসন ও লুটপাটের কারণে বাংলার ওপর শত শত কোটি টাকার ঋণের বোঝা। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, সরকার সম্পূর্ণ দেউলিয়া। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সহ অন্য কর্মচারীদের ডিএও দিতে পারছে না। তবে বিষয়টি আদালতে গেলে আদালত তা নাকোচ করে দেয়।'
তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের দেওয়ার জন্য পেনশন নেই। আবার ডিএ-র অর্থের জন্য কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের দেউলিয়া হওয়ার ঝলক স্পষ্ট। হ্যাঁ, একটা কথা নিশ্চিত যে রাজ্যের গভর্নরের জন্মদিন উদযাপন করতে, সমস্ত আড়ম্বর সহ চেন্নাই যাওয়ার টাকা আছে। কিন্তু ডিএ দেওয়ার জন্য নেই।'
সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, সরকারের বিদায়ের ইঙ্গিত পাওয়ায় এখন সরকারি খরচে প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই প্রশাসনিক বৈঠকের নামে তৃণমূলের সংগঠন মিটিং করে, তা বিস্তৃত করা হচ্ছে।'
ডেঙ্গুর প্রশ্নে, তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে কম, মৃত্যুর পরিসংখ্যান লুকিয়ে রাখতে ব্যস্ত। শিলিগুড়িতেও পরিসংখ্যান লোকানো হচ্ছে এবং শিলিগুড়িতে ২৪-এরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনিক অদক্ষতার প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'আজও শহরের ড্রেনগুলি ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে, সরকার এবং শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশন সবেমাত্র এটি পরিষ্কার করা শুরু করেছে। তাতেই স্পষ্ট যে, সরকার ও শিলিগুড়ি পৌর নিগম কিছুই করছে না।'
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দলের জন্য রাজ্যের টাকা এত জলের মতো নষ্ট করেছে, লুটপাট করেছে। সরকারি কোষাগার শূন্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাংলার ওপর হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। আবার, কেন্দ্রীয় সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার জন্য হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটা রাজ্যের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।'
No comments:
Post a Comment