গরু পাচার কাণ্ডে হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। আর এরই মাঝে তার এক কোটি টাকার লটারি প্রাপ্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। লটারি মামলায় এবারে নতুন রহস্য উদঘাটন করলেন সিবিআই তদন্তকারীরা। তথ্যমতে, নানুরের বারশিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ নুর আলী নামে এক যুবক এক কোটি টাকার লটারির টিকিট পান, যা পরে অনুব্রত মণ্ডলের নামে চলে যায়। এমনটাই জানান লটারি বিজয়ী নূর আলীর বাবা কাতাই শেখ।
নূর আলীর কাছ থেকে জোর করে লটারির টিকিট কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও অনুব্রতের অনুগামীরা তাকে হুমকি দিয়ে প্রায় সাত দিন গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। সিবিআই আধিকারিকরা এই অভিযোগগুলির তদন্ত করছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন প্রথম ট্যুইট করেছিলেন, আবারও শাসক দলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ডিয়ার লটারি কালো টাকা সাদাতে রূপান্তরিত করার একটি উপায়। অনুব্রত নিজে লটারির টিকিট কিনেছেন নাকি অন্য কারও কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন?
উল্লেখ্য, সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে বুধবার রাতে রতনপল্লী পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকরা। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বারশিমুলিয়ার বাসিন্দা নূর আলীর বাড়িতে যায় সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়ি থেকে লটারির টিকিট সহ বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন। এ দিন সকাল ১১টার দিকে নূর আলী ও তার ভাইকে রত্নপল্লীর অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হয়। সিবিআই কর্তারা ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তারা যথাসময়ে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে যায়।
অন্যদিকে নূর আলীর বাবা কাটাই শেখ জানান, তার ছেলে এক কোটি টাকার লটারি জিতেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁর কাছ থেকে লটারির টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। লটারির টিকিটের বদলে তাকে দেওয়া হয়েছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। আর বাকি টাকা পরে দিতে বলা হয়। সিবিআই নূর আলী ও তার বাবার বক্তব্য খতিয়ে দেখছে। লটারির টিকিট বিক্রেতা বাপি গাঙ্গুলী জানান, অনুব্রত সেই টিকিটটি ৮৩ লাখ টাকায় কিনেছিলেন।
No comments:
Post a Comment