একদিকে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে, অন্যদিকে রাজনীতিও তীব্র হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার পর এখন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরও একে লাভ জিহাদের ঘটনা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, কোনও হিন্দু এমন নিষ্ঠুরতা করতে পারে না। বিজেপি সাংসদ বলেন যে হিন্দু মেয়েদের সচেতন করা দরকার যে তাদের নিজেদের সমাজে বিয়ে করা উচিৎ।
সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বলেন, "একটি মেয়ে শ্রদ্ধা যাকে এক ধর্মদ্রোহী 35 টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রাখে এবং পুরো পরিকল্পনার অংশ হিসাবে একে একে ফেলে দেয়। আমাদের সমাজে লাভ জিহাদের যে বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে তা আমাদের দেশের জন্য কলঙ্ক। এটা দূর করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এই বিষয়ে সচেতনতা আনা আমাদের সকলের দায়িত্ব কারণ হিন্দুরা কখনই এমন কাজ করে না। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড, এমন নৃশংসতা আর কেউ করতে পারে না, একমাত্র লাভ জিহাদের অনুসারীরাই করতে পারে। এজন্য আমাদের তাদের সচেতন করতে হবে, মেয়েদেরকে সচেতন করতে হবে যে আপনি হিন্দু এবং হিন্দুকে বিয়ে করুন। এই ভালোবাসা আর কিছু নয়, ভালোবাসা এখন জিহাদে পরিণত হয়েছে।"
বিজেপি সাংসদ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেও আক্রমণ করেছেন যিনি 'লাভ জিহাদ' এর মতো যে কোনও বিষয়কে অস্বীকার করেছেন। সাধ্বী বলেন, “রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট যেভাবে এর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, তিনি যে মেয়েটি মারা গিয়েছেন তাকে অপমান করেছেন। লাভ জিহাদের উদাহরণ দেখুন, উত্তরপ্রদেশে একজনকে হাসপাতাল থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়, কাউকে বাড়িতে খুন করা হয়, কারও পরিবারের সদস্যদের খুন করা হয়। মেয়েদের অপহরণ করে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। বিয়ে হয়, বিক্রি হয়। তাদের উপর করা হয় নিষ্ঠুরতম অত্যাচার। যে পালিয়ে যায় সে বাঁচে এবং যে পালায় না তার 35, 37 এবং 100 টুকরো কাটা হয়। এভাবে পুজো করা আমাদের দেশের মেয়ে শিশুর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে, এ বিষয়ে সচেতনতা থাকা উচিৎ।"
No comments:
Post a Comment