ভারতে অনুষ্ঠেয় 'নো মানি ফর টেরর' মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান অংশ নেবে না। একই সময়ে চীন অংশগ্রহণের বিষয়ে নিশ্চিত করেনি। ৭৮টি দেশ ও সংস্থা এই বৈঠকে অংশ নেবে। এতে অংশ নেবেন ২০টি দেশের মন্ত্রীরা। ১৮ এবং ১৯ নভেম্বর নয়াদিল্লীতে একটি দুই দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার পরিচালক দিনকর গুপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দিনকর গুপ্তাকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে উভয় দেশই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না। চীন সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে তারা এখনও সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেনি। তিনি বলেন, "চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানকে ডাকা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।"
এ কর্মসূচির তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এটি তৃতীয় সম্মেলন। ২০১৮ সালে ফ্রান্সে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় সংস্করণ ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এনআইএ ডিজি বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থায়ন বন্ধ করার এটি একটি খুব ভাল উপায়। বহুবিষয়ক প্রতিষ্ঠানসহ ৭২টি দেশ এতে যোগ দিচ্ছে। এতে যোগদানকারী ৭৩তম দেশ হবে ভারত।
তিনি জানান, এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে অংশ নেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতি এবং অর্জিত সাফল্য বজায় রাখবেন। এতে ভারত অনেক ইস্যু রাখবে। এটি সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত আইন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দুর্বল গ্রিপ এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের অপব্যবহার, ডার্ক ওয়েব এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে আলোচনা করবে।
এই কর্মসূচিতে এনজিওর অপব্যবহার, ক্রাউড ফান্ডিং এবং বিকেন্দ্রীকৃত সন্ত্রাসের অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্যারিস এবং মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সন্ত্রাসের অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার কারিগরি, আইনি, নিয়ন্ত্রক, সহযোগিতার দৃষ্টিকোণও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কীভাবে বেসরকারি খাতও এই লড়াইয়ে যুক্ত হতে পারে এবং প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়েও ভারত নোট রাখবে।
No comments:
Post a Comment