ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে তোলপাড় সৃষ্টি করলেন তৃণমূল বিধায়ক। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তৃণমূল নেতার কাছ থেকে পঞ্চায়েত দখলের হুমকি শুনে ক্ষিপ্ত বিরোধীরা। অবিলম্বে বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কারের দাবীতে সোচ্চার বামেরা। বিজেপির কটূক্তি রাজ্যের শাসক দলের অন্যান্য কর্মসূচিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে দখলের হুমকিকে বর্ণনা করেছে। যদিও দলীয় বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
তৃণমূলের আরেক বিধায়কের পিছনে ফের সক্রিয় রাজ্যের রাজনীতি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্ষমতা দখলের হুমকি দিয়েছেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। অপূর্ব চৌধুরী মঙ্গলবার তার বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় সভায় যোগ দেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের 'দখল' হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা।
তিনি বলেন, "আমি যেভাবে প্রতিটি পঞ্চায়েত দখল করেছি, আমি এই বছরও সেই পঞ্চায়েত দখল করব। কে কী বলল এবং কে কী করল তা দেখার দরকার নেই। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি প্রতিটি আসনে জিততে পারি।"
2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন তীব্র বিতর্কের বিষয় ছিল। 34 শতাংশ আসনে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে, বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে সুর তুলেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার তৃণমূল বিধায়কের মুখে এমন হুমকি শুনে বিরোধীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছে।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, "তাকে অবিলম্বে সংশোধন করুন।" তিনি বলেন, "প্রতিবার যেমন ধরেছি, এবারও ধরব।। দখল ছাড়া তৃণমূল এক ইঞ্চিও টিকতে পারে না এক মুহূর্তও না।"
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "অপূর্ব চৌধুরী যা বলেছেন তা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি। 2018 সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি 2023 সালে হবে না। কারণ মার্চ মাসে তৃণমূল রাজ্যে থাকবে না।"
এদিকে দলের বিধায়কের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "অফিশিয়ালি বললে দল ব্যবস্থা নেবে। বহিষ্কার করা হবে। দল বলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হতে হবে। জনগণের অধিকার, জনগণ ভোট দেবে।"
No comments:
Post a Comment