রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দল তাদের গুটি সাজাচ্ছে। এই পর্বে নন্দীগ্রামে জনসংযোগ অভিযান শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জনসংযোগ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'চাটাই বৈঠক'। এই কর্মসূচির আওতায় গণসংযোগের পর গণভোজের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন নির্বাচনের সময় বিজেপি 'চায় পে চর্চা' নামে জনসংযোগ প্রচার শুরু করেছিল। এবার নিজেদের নতুন এই অস্ত্র দিয়ে বিজেপিকে হারানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ঘরে ঘরে যাবে এবং উঠানে চাটাইয়ে বসে সভা করবে। স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কলকাতার নেতারাও যাবেন এই কর্মসূচিতে। তৃণমূল এই ভাবে সমস্যার সমাধান করতে চায় এবং এর মাধ্যমেই জনসংযোগ করা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম জেতাই তৃণমূলের লক্ষ্য। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অভিনব জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য নন্দীগ্রামে দলের জনসংযোগ অভিযান জোরদার করা।
এই বৈঠকে সরকারি কাজের তথ্যও পাওয়া যাবে। সরকারী প্রকল্প পরিচালকরা ভালো কাজ করছেন কি না, তা দলটির জানা নেই। এই বৈঠকের মাধ্যমে তাদের সম্পর্কেঐ তথ্য মিলবে।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন এবং লক্ষ্মী ভান্ডারের অধীনে মহিলাদের অর্থ দিচ্ছেন। এর সাথে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এবং সবুজ সাথীর মতো স্কিম তৈরি করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ১০টি পঞ্চায়েত রয়েছে। ২টি ব্লকে ৭টি পঞ্চায়েত রয়েছে। রবিবার থেকেই এই বৈঠক শুরু হচ্ছে।
নন্দীগ্রামে তৃণমূলের চাটাই বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন চাটাইয়ের ওপর বসে আছেন, 'এরপর তাদের খালি মাটিতে বসতে হবে।'
No comments:
Post a Comment