'দেশে একতা বাঁচবে না, জনসংখ্যা সংক্রান্ত আইন যদি না থাকে', এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। এ বিষয়ে চীনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে চীনের জিডিপি ভারতের চেয়ে কম ছিল। ১৯৭৯ সালে, চীন এক সন্তান নীতি নিয়ে আসে এবং সবাই চীনের জিডিপি সম্পর্কে জানেন। গিরিরাজ আরও বলেন, 'আজ চীনে এক মিনিটে ১০টি শিশু এবং ভারতে এক মিনিটে ৩০টি শিশুর জন্ম হয়।'
আসলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণয়নের দাবী বিজেপি ও আরএসএসের তরফে নিরন্তর করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য গত মাসে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ, কারণ এটি জাতির স্বার্থেই হবে। তিনি বলেন, 'আমরা এটাকে পূর্ণ সমর্থন করি এবং যখনই এ বিষয়ে বৈঠক হবে, তখনই আমরা এতে অংশ নেব।' ডেপুটি সিএম আরও বলেন, 'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতাকারীর সংখ্যা কম।'
এর আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। একটি বক্তৃতার মাধ্যমে সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে মোহন ভাগবত বলেছিলেন যে, 'দেশকে ব্যাপক চিন্তাভাবনা করে একটি জনসংখ্যা নীতি তৈরি করা এবং এটি সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা উচিৎ।'
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার একটি বিবৃতিতে বলেন, 'আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়ে ৫৬.৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে পরিবার পরিকল্পনার অসমাপ্ত আবশ্যকতা মাত্র ৯.৪ শতাংশ। ক্রুড বার্থ রেট (CBR) ২০১৯ সালে ১৯.৭ এ নেমে এসেছে, যার কারণে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও আইনি ব্যবস্থা বিবেচনা করছে না।'
No comments:
Post a Comment