বাড়িতে শঙ্খ রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। যে বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা পূজার সময় শঙ্খধ্বনি শোনা যায়, সেই বাড়িতে সর্বদা আশীর্বাদ থাকে।
সনাতন ধর্মে শঙ্খকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শঙ্খের খোল প্রতিটি ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যায় শঙ্খের শব্দ শোনা যায়, সেখান থেকে নেতিবাচক শক্তি বেরিয়ে যায় এবং পজিটিভ শক্তির সঞ্চালন শুরু হয়। যদিও পূজায় যেকোনো শঙ্খের খোলস ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে এমনই কিছু শঙ্খের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো খুবই অলৌকিক বলে মনে করা হয়।
পাপ ধ্বংস হয়
যে ব্যক্তি পূজার সময় শঙ্খ বাজায়, তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। শাস্ত্রে শঙ্খকে দারিদ্র্য দূরীকরণ, বয়স বৃদ্ধিকারী ও সমৃদ্ধিকারী বলা হয়েছে। অনেক ধরনের শাঁখা রয়েছে এবং প্রতিটি শাঁখার গুরুত্বও আলাদা।
বিষ্ণু শঙ্খ
এই শঙ্খের আকৃতি দেখতে ভগবান বিষ্ণুর বাহন গরুড়ের উড়ন্ত রূপের মতো। এই শঙ্খটিকে চাঁদের শঙ্খ নামও দেওয়া হয়েছে। এই পবিত্র, বিরল, অলৌকিক শঙ্খ ব্যবহারে মানুষ উন্নতি লাভ করে এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
গণেশ শঙ্খ
এটি একটি বিস্ময়কর এবং অলৌকিক শঙ্খ। এই শঙ্খের আকার ভগবান গণেশের মতো, তাই এই শঙ্খকে গণেশ শঙ্খ বলা হয়। বিরল হওয়ায় বাজারে এর কদরও একটু বেশি। বাড়িতে এই শঙ্খ বসানোর আগে, সকালে স্নান করার পর নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করা হয়। বাড়ি ছাড়াও ব্যবসার জায়গায়ও রাখা যেতে পারে এই শাঁখা। যে স্থানে এই শঙ্খ স্থাপিত হয়, সেখানে কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা নেই।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment