হার্ডকোর অপরাধীর মতো আচরণ আফতাবের, নেই কোনও অনুশোচনা

শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লীতে।  ভয়ঙ্কর এই খুন মামলার নতুন নতুন বিষয় সামনে আসছে।  ফরেনসিক দলের একজন সদস্য বলেছেন যে তার লিভ-ইন পার্টনার, যিনি শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন, তিনি একজন অপরাধীর মতো আচরণ করছেন।  এফএসএল টিমের একজন সিনিয়র সদস্য, যারা খুনের সাথে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য প্রমাণ এবং নমুনা সংগ্রহ করছে, বলেছেন আফতাব একজন হার্ডকোর অপরাধীর মতো আচরণ করছে এবং তার কোনও অনুশোচনা নেই।  ওই আধিকারিক জানান, নমুনা সংগ্রহের সময় তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিলেন, এক্ষেত্রে আরও নারকো টেস্ট করলে পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে।

 যে অফিসার আফতাব শ্রদ্ধাকে নির্মমভাবে খুন করেছিল সেই বাড়িতে গিয়ে আফতাবের সাথে কথা বলেছিল যে সে বাড়ির ভিতরের প্রতিটি ছোট-বড় প্রমাণ ধ্বংস করেছে।  তিনি বলেন, 'তিনি জল ও রাসায়নিক দিয়ে ফ্রিজ ধুয়েছিলেন।  কিছু কেমিক্যাল সে দোকান থেকে কিনেছে আর কিছু কেমিক্যাল সে অনলাইনে অর্ডার করেছে।'

 ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক দল সর্বোচ্চ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।  অফিসার বলেন, 'আমরা রক্তের দাগের কিছু নমুনা নিয়েছি।  রান্নাঘর থেকে এসব নমুনা পাওয়া গেছে।  তবে তাদের তদন্তের পরই স্পষ্ট কিছু বলা যাবে।  ছয় মাস আগে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং আফতাব যেভাবে সব আলামত মুছে দিয়েছে, তা আমাদের জন্য খুবই কঠিন কাজ।

অফিসার আরও বলেন, 'আমরা অনেক অপরাধের দৃশ্য পরিদর্শন করেছি কিন্তু এমন কোনও জায়গা ছিল না যা পুরোপুরি পরিষ্কার করা হয়নি।  আলামত নষ্ট করতে তিনি রাসায়নিক ব্যবহার করেছেন।  রক্তের কোনও দাগ যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখেছিলেন তিনি।  অভিযুক্ত ব্যক্তি বই পড়ে বা অনলাইনে অনুসন্ধান করে অনেক চেষ্টা করে এসব করেছে।'

 তদন্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, আফতাব শ্রদ্ধার শরীরের কোনও অংশ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেনি।  ওই আধিকারিক বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।  তিনি বলেন যে তিনি শ্রদ্ধাকে বিছানায় আঘাত করেন এবং তারপর তাকে বাথরুমে নিয়ে যান এবং তারপর তাকে কেটে ফেলেন।  ফরেনসিক বিভাগের দল একটি ড্রেনে পাওয়া ১৩টি হাড় পরীক্ষা করছে।  প্রাথমিকভাবে এই হাড়গুলি মানুষের বলে মনে হয় তবে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।

 ওই আধিকারিক বলেন, আফতাব নিজেই বলেছেন হাড়গুলো কোথায় পাওয়া যাবে।  তদন্তকারী আধিকারিক আরও বলেছেন যে তিনি এমনকি সেই বিছানাটিও দেখিয়েছিলেন যেখানে তিনি শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন এবং তারপরে বাথরুমটি যেখানে তিনি তাকে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করেছিলেন।  তিনি সেই ড্রেনটিও দেখিয়েছিলেন যেখানে তিনি শ্রদ্ধার শরীরের টুকরোগুলো ফেলেছিলেন।