অনেক সময় মানুষের মন খারাপ হলে গান মনকে শান্ত করে। অনেক গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, গান শুনলে মানসিক চাপ কমে। কিন্তু আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই একটি গানের কথা বলা হচ্ছে, যা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
হাঙ্গেরিয়ান সুরকার রেজসো সেরেজ "গ্লুমি সানডে" নামে একটি সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। ভালোবাসা থেকে পাওয়া ক্ষত সম্পর্কিত এই গানটি সেরেজ অনেক প্রযোজকের কাছে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু এই গানটি প্রকাশের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। যদিও দুই বছরেরও বেশি সময় পরে ১৯৩৩ সালে গানটি রেকর্ড করা ও রিলিজ হয়।
গানটি প্রচারের কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে দ্রুত আত্মহত্যার ঘটনা বাড়তে থাকে। অনেকে তাদের সুইসাইড নোটেও এই গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। সে সময় ‘গ্লুমি সানডে’র কারণে প্রায় ১৭ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। তিনি তার প্রেমিকার জন্য এই গানটি লিখেছিলেন, যখন তিনি তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। গানটির কথা ও সঙ্গীত এমন ছিল যে, এটি মানুষের মধ্যে বেদনা ও দুঃখ উৎপন্ন করত, তাই একে 'হাঙ্গেরিয়ান সুইসাইড সং'ও বলা হয়।
গানটির ভয়াবহতার পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি ৬২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। পরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এখন এই গানটি ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই গানের কারণে কেন এত মানুষের প্রাণ গেল তার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আরও চমকে ওঠার মত ঘটনা যে, এই গানটির লেখক সেরেজও আত্মহত্যা করেছেন। সেরেজও ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে বুদাপেস্টে আত্মহত্যা করেছিলেন। সেরেজ অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে লাফ দিয়েছিলেন কিন্তু তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে হাসপাতালে সেরেজ তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
No comments:
Post a Comment