নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাঁচ সন্তানের জননীর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূটে ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এই ঘটনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নির্যাতিত ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে অভিযুক্ত মহিলা। ওই সময় ছাত্রর বাবা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এবারে আদালতের নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং নির্যাতিতকে মুক্ত করায়। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।
ঘটনাটি চিত্রকূটের রাজাপুর থানা এলাকায়। নির্যাতিতর বাবা আদালতে দাখিল করা হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ছেলের বয়স মাত্র ১৪ বছর এবং সে নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত মহিলা তাদের পাড়ায়ই থাকেন। তিনি বিবাহিত এবং ৫ সন্তানের জননী। তিনি জানান, অভিযুক্ত মহিলা তার ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুঁসলিয়ে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আদালতকে জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, তার অভিযোগও নেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে বিচারের জন্য আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছে। এখন আদালতের নির্দেশে রাজাপুর থানার পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে।
আদালতের নির্দেশে মামলা নথিভুক্ত করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং ছাত্রকে তার আস্তানা থেকে মুক্ত করে। নির্যাতিতর মেডিক্যাল করানোর পর, পুলিশ অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিত ছাত্র জানায়, ওই মহিলা তাকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। সে প্রায়ই তার সাথে অশ্লীল কাজ করতো। একদিন সে তাকে বকাঝকা করে অপহরণ করে প্রয়াগরাজে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত মহিলা একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রতিদিন তাকে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তার সাথে তার লালসা প্রশমিত করত। ভুক্তভোগী জানান যে, সে অনেকবার প্রতিবাদ করলেও মহিলা তাকে বকাঝকা করে চুপ করিয়ে দেন।
No comments:
Post a Comment