১৭ জানুয়ারী, ২০২৩ তারিখে শনি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করতে চলেছে।
বিচারপতি দেব শনি ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩-এ কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করতে চলেছেন৷ কথিত আছে যে ব্যক্তির উপর শনির কুদৃষ্টি পড়ে, তার খারাপ সময় শুরু হয়। এই ভয়ে মন্দিরেও কেউ কেউ শনিদেবের মূর্তির সামনে দাঁড়ান না। সর্বোপরি, মানুষ কেন শনির মূর্তিকে ভয় পায় এবং তাদের বাঁকা দৃষ্টির রহস্য কী, আমরা আপনাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে যাচ্ছি।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে শনিদেব ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পরম ভক্ত ছিলেন। তাকে পূজা করতেন। কীর্তন করতেন এবং সর্বদা তাঁর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। শনিদেব যখন যুবক হন, তখন রাজা চিত্ররথের কন্যার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পরও শনিদেব সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের ভক্তিতে মগ্ন ছিলেন। স্ত্রীর অনেক চেষ্টা করেও স্ত্রীর দিকে তাকায়নি শনি।
তার স্ত্রী শনিদেবের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে একদিন রাগান্বিত হয়ে শনিদেবকে অভিশাপ দেন। তিনি অভিশাপ দিয়ে বললেন, আজকের পর যার দিকে শনির দৃষ্টি পড়বে, সে ধ্বংস হয়ে যাবে। কথিত আছে যে, সেই দিন থেকে যে ব্যক্তি শনির দৃষ্টিতে পড়বে, সে অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে।
পরে আফসোস
অভিশাপ পাওয়ার পর শনিদেব স্ত্রীকে না দেখার কারণ জানালে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তিনি তার কর্মের জন্য খুব অনুতপ্ত। যদিও স্ত্রীর অভিশাপ ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কথিত আছে যে তখন থেকেই শনি মাথা নিচু করে হাঁটেন, কারণ তিনি চান না যে তার চোখ কারো ধ্বংসের কারণ হোক।
এই রং শনির অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করে
শনি সম্পর্কিত আরও একটি অলৌকিক রহস্য রয়েছে। এই রহস্য নীল রঙের সাথে সম্পর্কিত। নীল রঙ ইন্দ্রনীল মণির মতো শরীর ধারণ করে শনিদেবের সমস্ত কুপ্রভাব কমাতে পারে, তা সে সারে সতী, শনি দশা বা ধইয়ারই হোক। এ জন্য নীল রঙের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা জরুরি।
এর প্রতিকার কি?
শনি ও রাহু থেকে উপকার পেতে নীল রঙ ব্যবহার করুন। নীল রুমাল একসাথে রাখলে রাহুর সমস্যা কমে যায়। ব্যাখ্যা এবং পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নীল রং ব্যবহার করুন। পড়ালেখা ও কাজের জায়গায় হালকা নীল রঙের শেড ব্যবহার করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment