২০২২ সালের আলোচিত ৩ ঘটনা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 18 December 2022

২০২২ সালের আলোচিত ৩ ঘটনা


আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় এগুলোর মধ্যে এমন ঘটনাও থাকে, যা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। এমনই কিছু ঘটনা যা ২০২২ সালে ঘটেছে এবং যেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সংবাদমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যম, এমনকি পাড়ার দোকানেও। একনজর দেওয়া যাক সেরকমই তিনটি ঘটনার দিকে-


নয়ডায় টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা-

২৮শে আগস্ট, নয়ডার প্রায় ১০০ মিটার লম্বা সুপারটেক টুইন টাওয়ার, যা কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা ছিল, ভেঙে পড়ে। বলা ভালো গুঁড়িয়ে ফেলা হয়। উপ-আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বাসিন্দারা আদালতে যাওয়ার নয় বছর পর টাওয়ারটি ভেঙে ফেলার আদেশ আসে৷ আধিকারিকরা স্থানীয় নিউজ চ্যানেলকে বলেন, টাওয়ারটি মাত্র নয় সেকেন্ডে ৩,৭০০ কিলোগ্রাম (৮,১০০ পাউন্ড)- এর বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়।


মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনা

৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় গুজরাটের মরবি শহরে মাছু নদীর উপর নির্মিত ১৫০ বছরের পুরনো একটি সেতু ভেঙে পড়ে, সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মহিলা ও শিশু সহ ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়। উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকদিনের তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের পর ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যখন ঝুলন্ত ব্রিজটি ভেঙে পড়ে, সেইসময় সেখানে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ ছিলেন। সেতু ভেঙে নীচে নদীতে পড়ে যান শত শত মানুষ। 


শ্রদ্ধা খুন কাণ্ড

লিভ-ইন পার্টনারকে খুন এবং তার দেহকে ৩৫ টুকরো করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় শরীরের সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফেলে দেওয়ার অভিযোগে ১৪ নভেম্বর দিল্লী পুলিশ একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে বিয়ে করার জন্য জেদ করায় সে তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।


দিল্লী পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত, আফতাব (২৮) এবং মৃত, শ্রদ্ধা ওয়াকার (২৮)-এর মুম্বাইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় দেখা হয়েছিল এবং তারা প্রেমে পড়ে। মেহরাউলি পুলিশ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে যে, এই যুগল মুম্বাই থেকে দিল্লীতে চলে এসেছিলেন এবং ছাতারপুর এলাকায় একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করেন। তাদের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়নি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, দিল্লী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অভিযুক্ত এই খুনের কথা স্বীকারও করে। ঘটনার পিছনে 'লাভ জিহাদ' সন্দেহ করে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবী জানিয়েছেন শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad