প্রোটিন শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। হাড়, চুল ও নখের মজবুতির জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিনের অভাবে অনেক মারাত্মক রোগ শুরু হয়। কিছু ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।
প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য অনেকেই প্রোটিন পাউডার সেবন করলেও তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। মাংস এবং মাছ প্রোটিনের সেরা উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। এসব জিনিসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। অনেকেই মনে করেন, আমিষ না খেলে প্রোটিন পাওয়া যায় না, কিন্তু এমনটা ভাবা একেবারেই ভুল। কিছু ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই জিনিসগুলিকে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ করে তোলার মাধ্যমে আমরা প্রোটিনের ঘাটতি এড়াতে পারি।
পেয়ারা
পেয়ারা খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। পেয়ারায় প্রোটিন ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। পেয়ারা সবজি ও জুসও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
মটর
মানুষের প্রিয় সবজির তালিকায় রয়েছে মটরশুঁটি। প্রায় প্রতিটি সবজি এবং খাবার তৈরিতে মটর ব্যবহার করা হয়। মটর প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রোটিনের ঘাটতি এড়াতে চাইলে মটরশুঁটি খাওয়া উপকারী।
কমলা
কমলা পুষ্টির ভান্ডার। কমলালেবুতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও কমলা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। কমলা খেলে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো যায়।
পালং শাক
পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ অনেক রোগ সারাতে সাহায্য করে। এটি আয়রন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। পালং শাক খেলে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়।
কলা
অনেকের প্রিয় ফলের তালিকায় কলার নাম রয়েছে। এটি পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উত্স হিসাবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও কলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রতিদিন দুধের সাথে কলা খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
কিউই
কিউই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিউইতে প্রোটিন ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ফাইবার, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিউই খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয় না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment