বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ভেস্তে দিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ দল। ৪০ কেজি বিস্ফোরক সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। ধৃতদের নাম শেখ রমজান ওরফে লালাই এবং শেখ ফিরোজ, দুবরাজপুর-বীরভূমের বাসিন্দা। তবে, এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় যে, কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের বিস্ফোরকের চালান সরবরাহ করেছে এবং এই বিস্ফোরকগুলি কোথায় প্লান্ট করা হত। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে।
এসটিএফ কলকাতার তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ একটি খবর পেয়েছিল, যেখানে বলা হয়, কলকাতাকে উড়িয়ে দিতে শহরে বিস্ফোরকের বড় চালান এসেছে। এই চালানটিকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বাইকে করে দুজন লোক নিয়ে যাবে। এসটিএফ দল এই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যাকশনে নেমে পড়ে এবং শুরু হয় কড়া নাকা চেকিং। মঙ্গলবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় সোনারপুর-বামনঘাটা হাইওয়েতে দুই সন্দেহভাজন বাইক আরোহীকে থামানো হয়। তল্লাশি চালালে তাদের দুজনের কাছ থেকে ২০-২০ কেজি বিস্ফোরকের চালান উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তাদের গ্ৰেফতার করে আদালতে পাঠায়। দুজনকেই ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসটিএফ আধিকারিকদের মতে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক কমলা রঙের। মনে করা হচ্ছে এটি বিপজ্জনক বিস্ফোরক আর্সেনিক সালফাইড। এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক অনেক বহুতল ভবন উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে বলা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা আগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিল যে, তারা কোনও সরকারি কাজে এটি নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু পুলিশ কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ফাঁস হয় আসল কথা।
এসব বিস্ফোরক কোথা থেকে এসেছে এবং কোথায় ব্যবহার করা হবে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর মাধ্যমে কোনও সন্ত্রাসী চক্র এই বিস্ফোরক সরবরাহ করেছে কি না এবং তাদের উদ্দেশ্য কী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment