শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্ৰেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সেইসময়ের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরের সবচেয়ে চমকে দেওয়ার মত ঘটনা হয়তো এটাই। ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারের ছয় দিন পর দলের সঙ্গ ও পদ দুই-ই হারান মন্ত্রী।
পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। সেইসঙ্গেই সোনার গহনা, বেশ কিছু নথি, বিদেশি মুদ্রা সহ আরও অনেক কিছু উদ্ধার হয় তার ঘর থেকে। এরপরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠতে শুরু করেন জনগণ, কোর্ট চত্বরে তো প্রাক্তন মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জোতো পর্যন্ত ছুঁড়ে মারেন এক মহিলা। এমন ঘটনা কয়েক দশকে রাজ্যবাসী দেখেছে কিনা সন্দেহ! পার্থ-অর্পিতা দুজনেই আপাতত শ্রীঘরে।
এখানেই শেষ নয়, এরপর থেকেই সামনে আসতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতা হাইকোর্টও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে থাকে এই মামলায়। এ যেন বাঁধাকপির পাতা ছাড়ানোর মতন দৃশ্য। তদন্ত যতই এগোতে থাকে, একে একে এসএসসি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন-বর্তমান কর্তারাও, যাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতা-বিধায়ক বলেও পরিচিত, ইডি- সিবিআই-এর জালে ধরা পড়েন। কে নেই সেই তালিকায়- এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য্য, সুবিরেশ ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকে। এমনকি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যাকে অবৈধ ভাবে পাওয়া শিক্ষকের চাকরি হারাতে হয়, কর্মজীবনের সমস্ত বেতন ফেরতের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এনাদের কেউ আছেন সংশোধনাগারে। তো কেউ আবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে।
No comments:
Post a Comment