রেগে গিয়ে প্রাক্তন স্ত্রীর শরীরে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত ইনজেকশন দিল যুবক। বিষয়টি ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে পৌঁছায়। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাটি গুজরাটের রাজধানী সুরাটের। অভিযুক্তের কাছ থেকে সংক্রামিত রক্ত উদ্ধার করা হয়েছে। ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করা হবে।
অভিযুক্তের নাম শঙ্কর কাম্বলি। সে একজন ড্রাইভারের কাজ করে। ১৫ বছর আগে ওই মহিলার সঙ্গে শঙ্কর কাম্বলির বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, দুজনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। প্রায় দুই মাস আগে তাদের দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও অভিযুক্ত ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।
অভিযুক্ত মহিলাকে আবার একসঙ্গে থাকার জন্য জোর করছিল। কিন্তু, ওই মহিলা তাঁর সঙ্গে থাকতে রাজি ছিলেন না। এ কারণে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বলা হচ্ছে, অপরাধ করার আগে শঙ্কর কাম্বলি একটি টিভি শো দেখেছিলেন। একটি টিভি শোতে, তিনি একজন পুরুষকে কুকুরের রক্ত এক মহিলার শরীরে ইনজেকশন দিতে দেখেছিলেন। সেখানেই তিনি ধারণা পান। তারপর তিনি কোথা থেকে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর রক্ত সংগ্রহ করেন। তারপর মহিলার কাছে যান।
রবিবার দুজনেই সারাদিন একসঙ্গে কেনাকাটা করেন। এ সময় রেস্টুরেন্টে খাবারও খেয়েছেন। সন্ধ্যা হলে অভিযুক্ত ওই মহিলাকে মোরা ভাগল এলাকার একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তিনি আবার মহিলাকে তার সাথে থাকতে বললেন। কিন্তু, মহিলা বারবার অস্বীকার করতে থাকেন। এরপর আকস্মিক সুযোগ দেখে অভিযুক্ত ২৫ ডিসেম্বর ওই নারীর শরীরে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত ঢুকিয়ে দেয়। এর পর ওই মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে তিনি থানায় গিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
একই সঙ্গে পুরো বিষয়টি তদন্তে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ। ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই যুবকের পকেট থেকে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কীভাবে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত পেয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক। মহিলা ডাক্তারের সাথে দেখা করে তাকেও পুরো বিষয়টি জানিয়েছে। তার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা।
No comments:
Post a Comment