সাধারণত, যখন আমরা একটি গুহায় যাই, তার উভয় প্রান্ত দরজা থাকে, একটি যেখান থেকে আমরা ভিতরে যেতে পারি এবং অন্য প্রান্ত যেখান থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি। কিন্তু বিহারের মুঙ্গেরেও একটি গুহা রয়েছে যা আজও সবার কাছে রহস্যময়। কারণ হল এর এক প্রান্ত এখনও মুঙ্গেরে থাকলেও অন্য প্রান্ত জানা যায়নি। বলা হয়, মানুষ এখনও এর অন্য প্রান্ত খুঁজছে। ২৫০ বছরের পুরনো এই গুহারও রয়েছে নিজস্ব আকর্ষণীয় ইতিহাস।
তবে বর্তমানে এই গুহাটি যে স্থানে অবস্থিত সেই স্থানের অবস্থা এমন নয় যে মানুষ সেখানে যেতে চায় কারণ যে পার্কটি অবস্থিত সেটি ময়লা-আবর্জনায় ভরা এবং পার্কের চার দেয়ালে রং করা বা খোসা ছাড়ানো হয়েছে। কোথাও চলে এসেছে। সমস্ত জিনিস পুরানো, অকেজো, বা জীর্ণ। শ্রীকৃষ্ণ ভাটিকার ভিতরের এই গুহাটি 'মীর কাসিমের'। বিহারের মুঘল আমলের কথা বললে প্রথমেই আসে মুঙ্গেরের নাম। নবাব মীর কাসিম মুঙ্গেরে গঙ্গা নদীর তীরে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে একটি গোপন গুহা তৈরি করেছিলেন। ব্রিটিশদের আক্রমণ এড়াতে নির্মিত এই রহস্যময় গুহার এক প্রান্ত এখনও মুঙ্গেরে নিরাপদ বলে মনে হয়। গুহার অপর প্রান্ত নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মুঙ্গেরের মুফাসসিল থানা এলাকার পীর পাহাড়ের কাছে অন্য প্রান্ত বেরিয়ে এসেছে বলে লোকজন বলছেন, তবে সেরকম কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১৭৬০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নবাব মীর কাসিম মুঙ্গেরে পৌঁছালে তিনি অবিলম্বে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে স্থানান্তর করেন। কিছু ইতিহাসবিদ বলেছেন যে মীর কাসিম ১৭৬৪ সাল পর্যন্ত মুঙ্গেরে অবস্থান করেছিলেন। এদিকে, তিনি নিজেকে এবং মুঙ্গেরকে ব্রিটিশদের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে শহরটিকে একটি দুর্গে রূপান্তরিত করেছিলেন। চারদিকে মজবুত ও উঁচু দেয়াল এবং চারদিকে পাথরের তৈরি চারটি বিশাল দরজা। এগুলো আজও নিরাপদ এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।
No comments:
Post a Comment