এই প্রতিকারে বন্ধ নাক খুলে যাবে, রাতারাতি সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাবেন

 নাক বন্ধ থাকায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ঠাণ্ডার কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়। কিছু ঘরোয়া উপায়ে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। 

অবরুদ্ধ নাক-গলা: শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। বরফের মত বাতাস বইছে। ঠাণ্ডা বাতাসও বরফের মতো নাক জমে যায়। বন্ধ নাক ও গলা জ্যামের কারণে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। এই অবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সর্দি-কাশির কারণে যদি নাক-গলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি ঠান্ডা নিরাময়ে খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। 

ক্বাথ

ভরাট গলা ও নাক সারাতে, ঘরে উপস্থিত মশলা থেকে তৈরি চা বা ক্বাথ পান করা উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। তুলসী, গোল মরিচ, শুকনো আদা ও দারুচিনি একসঙ্গে ফুটিয়ে চা তৈরি করুন। এতে গুড় ও লেবুর রস দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি স্বস্তি পেতে শুরু করবেন।

নাকে তেল

ব্লক করা নাক খুলতে এতে তেল দিতে পারেন। সকালে নাকে ১-২ ফোঁটা তেল বা নারকেল তেল দিন। এই রেসিপিটি দ্রুত প্রভাব দেখাতে শুরু করে। এই তেল ও ঘিতে উপস্থিত ঔষধিগুণ নাক খুলতে সাহায্য করে।

লবঙ্গ এবং মধু

লবঙ্গ ও মধুতে বিদ্যমান ঔষধিগুণ ঠান্ডা ও ফ্লুতে উপশম দেয়। লবঙ্গ গুঁড়ো মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়। এই মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার গ্রহণ করা যেতে পারে। অবরুদ্ধ নাক-গলা শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

গার্গল করা

ঠান্ডার কারণে গলায় কফ জমে। এই ব্যথার কারণে গলায় জ্বালাপোড়াও হয়। মুখে তিল বা নারকেল তেল দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা দূর হয় এবং গলা বন্ধ হয়ে যায়। তেল দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরে, আপনার উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, তারপর আপনার মুখটি ভালভাবে পরিষ্কার করুন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।