শ্রদ্ধা খুনের ছায়া ঝাড়খণ্ডে। সাহেবগঞ্জ জেলায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, শনিবার গভীর সন্ধ্যায় বোরিও ব্লকের অন্তর্গত বোরিও সাঁওতালি পঞ্চায়েতের মমিন টোলায় নবনির্মিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পিছনে একটি মানবদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। মানুষ দেখল কুকুরেরা পা, বুক ও শরীরের অন্যান্য অংশ আঁচড়ে খাচ্ছে। লোকজন বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানায়। পঞ্চায়েতের ছেলে মনোজ দাস ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে বোরিও থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জগন্নাথ পান ও এএসআই করুণ কুমার রাই দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
থানার ইনচার্জ জগন্নাথ পান এবং এএসআই করুণ কুমার রাই তদন্ত শুরু করেন। বেলা টোলা থেকে সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, হেফাজতে নেওয়া যুবকের খোঁজে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে প্রায় 300 মিটার দূরে অবস্থিত মঞ্জটোলায় একটি বন্ধ ঘর থেকে পুলিশ আরও বেশ কয়েকটি মৃতদেহের টুকরো উদ্ধার করেছে। কিছু টুকরো মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, আবার কিছু টুকরো বস্তায় রাখা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি আদিম পাহাড়িয়া আদিম সম্প্রদায়ের। যেখানে অভিযুক্ত একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যুবক ও নিহতের প্রেম বিবাহ ছিল এবং গত কয়েকদিন ধরে তারা একসঙ্গে বসবাস করছিলেন।
গভীর রাতে ঘটনার খবর পেয়ে সাহেবগঞ্জের এসপি অনুরঞ্জন কিসপোতা, ডিএসপি সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা বোরিও পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসপি এখনও সিনিয়র অফিসার এবং ভারী পুলিশ বাহিনী নিয়ে বোরিওতে ক্যাম্প করছেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এখনও ভিকটিম বা অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেনি। তবে বলা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি আদিম পাহাড়িয়া উপজাতি সম্প্রদায়ের এবং ডোডা পাহাড়ের বাসিন্দা। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তা এখনই জানা যায়নি। অভিযুক্তকে জেরা করছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment